admin2 ১ নভেম্বর ২০২২ , ১২:২১:০৩ 176
লিপু খন্দকারঃ
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে ভাতার কার্ড করে দেবার প্রলোভন দেখিয়ে বসতবাড়ির জমি স্কুল শিক্ষক আসলাম ও প্রতিবেশী মজনু দলিল লেখক রাজুর সহায়তায় রেজিস্ট্রি করে নেবার ১৩ দিনের মাথায় জমি ফেরত দিতে বাধ্য হয়েছে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় এবং এলাকার সচেতন মানুষের চাপের মুখে মঙ্গলবার আবেদীনের নামে জমি রেজিস্ট্রি করে দিয়েছে আসলাম ও মজনু।
এ বিষয়ে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী আবেদিন এর ভাই শুকুর আলম জানান, মঙ্গলবার তার ভাইকে নিয়ে রেজিস্ট্রি অফিসে তারা যাবার পর আসলাম মাস্টার ও মজনু সেখানে ছিলো। অনেক জায়গায় তার ভাইয়ের টিপসই নিয়েছে এবং তার ভাইকে জমি ফেরত দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
এখনও তারা নিশ্চিত হতে পারেননি জমি ফেরত পেয়েছেন কি-না? দলিলের নকল তুলতে দিয়েছেন। দলিল হাতে পেলে নিশ্চিত হবেন বলে জানান।
এ বিষয়ে দলিল লেখক রাজু জানান, আবেদীন তার এক আত্নীয়কে সাথে নিয়ে এসে ১৮ অক্টোবর আসলাম মাস্টার ও মজনুর নামে ১ শতক ৬৫ পয়েন্ট জমি রেজিস্ট্রি করে দেয়। পরবর্তীতে এই জমি আবেদীনের নামে ফেরত দেবার জন্য বিভিন্ন মহল থেকে চাপ সৃষ্টির কারনে আসলাম মাস্টার ও মজনু মঙ্গলবার জমি ফেরত দিয়েছে।
প্রসঙ্গত গত ১৮ অক্টোবর বুদ্ধি প্রতিবন্ধী আবেদীনের বাড়ির জমি ভাতার কার্ড করে দেবার প্রলোভন দেখিয়ে সোন্দাহ নন্দলালপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আসলাম উদ্দিন ও প্রতিবেশী মজনু দলিল লেখক রাজুর মাধ্যমে রেজিস্ট্রি করে নেয়।
পরবর্তীতে বিষয়টি জানাজানি হলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এবং আবেদীনের পরিবারের সদস্যরা জমি ফেরত পেতে ও দলিল বাতিলের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং সাব- রেজিস্ট্রারের কাছে দরখাস্ত দেন। এছাড়াও এলাকার সচেতন মানুষ আবেদীনের জমি ফেরত দেওয়ার জন্য প্রতিবাদ মুখর হয়ে উঠেন।