admin2 ৩০ নভেম্বর ২০২২ , ১:৩৪:৫৯ 63
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে হত্যা মামলায় ৬ ডাকাতকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। ডাকাতি করার সময় বাড়ির মালিক শাজাহান আলীকে হত্যার দায়ে তাদের কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত।
আজ বুধবার ৩০ নভেম্বর দুপুরের কুষ্টিয়া অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. তাজুল ইসলাম এ রায় দেন। এই মামলার ৮ আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
সাজাপ্রাপ্তদের ২৫ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ১ বছরের সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত।
যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন-
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর গ্রামের ইব্রাহিম মন্ডলের ছেলে স্বপন, একই উপজেলার ইসলামপুর গ্রামের পান্না মৃধার ছেলে নাহারুল, মৃত শমছের প্রামাণিকের ছেলে মকবুল, ওফিল প্রামাণিকের ছেলে শফি, মৃত জলিল প্রামাণিকের ছেলে শাজাহান, খলিল প্রামাণিকের ছেলে আজমল।
রায় ঘোষণার সময় যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্ত তিনজন আসামি আজমল, শাজাহান ও শফি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর পরই তাদের পুলিশ পাহারায় জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। স্বপন, নাহারুল ও মকবুল পলাতক রয়েছেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০০২ সালের ২৭ এপ্রিল রাত ১০টার দিকে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর গ্রামের শাজাহান আলীর বাড়িতে রাইফেল, বন্দুক, পিস্তল, এলজি, চাইনিজ হাত কুড়াল, লোহার রড, তরবারি, রামদা, বাঁশের লাঠি ইত্যাদি অস্ত্র-সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আসামিরা ডাকাতি করে।
আসামিরা নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার এবং বাড়ির বিভিন্ন আসবাবপত্র লুট করে। এ সময় প্রতিবাদ করায় চাইনিজ কুড়ালের উল্টো পিঠ দিয়ে শাজাহান আলীকে আঘাত করে হত্যা করে আসামিরা। এ ঘটনায় পরেরদিন ২৮ এপ্রিল নিহত শাজাহান আলীর ছেলে বোরহান উদ্দিন বাপ্পি আসামিদের বিরুদ্ধে দৌলতপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা (এসআই) ফেরদৌস হোসেন আসামিদের বিরুদ্ধে ২০০৪ সালের ২৪ জানুয়ারি আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এরপর আদালত এ মামলায় সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন। নির্ধারিত ধার্য তারিখে আদালতের বিচারক মামলার আসামিদের শাস্তির আদেশ দেন।
কোর্ট ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ আনিসুল ইসলাম বলেছেন, ডাকাতি করার সময় শাজাহান আলী নামের এক বাড়ির মালিককে চাইনিজ কুড়াল দিয়ে আঘাত করে হত্যার দায়ে ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ মামলার ৮ আসামিকে খালাস দেয়া হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামি উপস্থিত ছিলেন। অপর আসামিরা পলাতক রয়েছে।
সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র | শনি | রবি |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ৪ | ৫ | ||
৬ | ৭ | ৮ | ৯ | ১০ | ১১ | ১২ |
১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ | ১৯ |
২০ | ২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ | ২৫ | ২৬ |
২৭ | ২৮ |