admin2 ২৯ মার্চ ২০২৩ , ১:১৪:৫২ 79
মোল্লা জাহাঙ্গীর আলম _খুলনা//
খুলনা জেলার -চালনা পৌরসভা এলাকার বড় খলিশা গ্রামের দিপ্তী রায়ের কাকুতি মিনতি বৈশাখী রায় তুমি ফিরে এসো মা।
চালনা পৌরসভা এলাকার বাসিন্দা দিপ্তী রায়-স্বামী ঠাকুর রায়, উপজেলা দাকোপ, জেলা -খুলনা। একমাত্র কন্যা বৈশাখী রায়কে ফিরে পেতে বিভিন্ন জায়গায় মানুষের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরছে মা জননী দীপ্তি রায়।
এলাকায় উপস্থিত হয়ে জানা যায়, দীপ্তি রায় একজন উদার মনের সৎ সরল সোজা মনের মানুষ।
এ সরল সোজা ও দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে কাল হয়ে আসে তার পরিবারের মাঝে, এই যুবক নাম তার মোফিজুর রহমান শেখ।
জানা যায়, মোফিজুর রহমান দাকোপ উপজেলার খাটাইল গ্রামের বাসিন্দা মোঃ মতিয়ার রহমানের পুত্র।
দীপ্তি রায় সাংবাদিকদের জানান, এই মোফিজুর রহমানের সাথে দীপ্তি রায়ের স্বামীর সাথে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক দাকোপ উপজেলা শাখায় কোন এক কাজ করার উদ্দেশ্য গেলে পরিচয় ঘটে।
মোফিজুর রহমান ঠাকুর রায়কে বলেন, আমি কৃষি ব্যাংকে কাজ করি এবং আমি লক্ষ লক্ষ টাকা অনেকের লোন করে দিয়েছি। লোন করা আমার কাছে পানির মত।
তখন ঠাকুর রায় মোফিজুরের মিষ্টি কথার প্রবণতায়, মিথ্যা লোভে পড়ে যান। পরবর্তীতে মোফিজুরকে ঠাকুর রায় তার বাড়িতে নিয়ে যান।
এবং নিজ সন্তানের আসন দেন।তাছাড়া তিনি হয়ে উঠেন ওই পরিবারের সিদ্ধান্তের এক চাবি কাটি।
এক এক করে দখল করে মনের ভিতর প্রবেশ করেন ও মিথ্যা বিশ্বাস আনার চেষ্টায় লিপ্ত থাকেন মোফিজুর রহমান।
মা দীপ্তি রায় সাংবাদিকদের আরো জানান, মোফিজুর রহমান তাদের জমির দলিল রেখে তিন লাখ টাকাও নিয়েছে। তাছাড়া এলাকার মানুষের কাছ থেকে এভাবে প্রতারণা করে টাকা হাতিয়ে নিয়ে এলাকা থেকে উধাও।
দীপ্তি রায় আরো বলেন, আমার মেয়ে বৈশাখীর সাথে গোপনে সম্পর্ক করে। এখন তারা দুজনে এক সাথে আছে খুলনাতে আমি জানি।
অনুসন্ধানী দল এবার নামেন সত্যের সন্ধানে। শুরু হয় গোপন সত্যের যাত্রা তথ্য সংগ্রহের কাজ।
কে এই বৈশাখী তাকে নিয়ে কেন এতো কৌতূহল। সে কোথায় আছে? মা বাবা ভাই বোন আর আত্মীয় স্বজনদের ভুলে।
মা দীপ্তি রায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে জানা গেলো, বৈশাখী রায় বাংলাদেশের সুনাম ধন্য সেবা প্রধানের অন্য তম প্রতিষ্ঠান আদ্বীন হাসপাতাল খুলনার খালিশ পুর এলাকায় নার্স হিসাবে কর্মরত রয়েছেন।
এবার অনুসন্ধানী দল খুলনা মুখী,গত মঙ্গলবার
২৮শে মার্চ ২০১৩ এর দুপুর সময় তখন ২ টা।
হাসপাতালে বৈশাখীর খোঁজে উপস্থিত হয়ে জানা যায়, বৈশাখী রায়, সাত তলা রুমের অপরেশন থ্রিয়াটারের নার্স হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।
হাসপাতাল কতৃপক্ষ জানিয়ে দেন তিনি রাতে ডিউটি করে এখন বাসায় রয়েছেন।
পরে বৈশাখী রায়ের মোবাইল নম্বরের কল করা হয়, তিনি জানিয়ে দেন আমি রাতে ডিউটি করে এখন ঘুমাচ্ছি। পরে কথা বলবো। এমনটা বলেই ফোন রেখে দেন।
কয়েক ঘন্টা পরে আবার তাকে ফোন দেওয়া হয়। কিন্তু ফোন বাজলেও আর রিসিভ করেনি বৈশাখী রায়।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আর একটি বিষয় জানা যায়, বৈশাখী রায়, সনাতন ধর্ম ত্যাগ করে, মুসলিম ধর্ম গ্রহন করেছেন। এবং মোফিজুর রহমানকে গোপনে বিবাহ করেছেন তিনি।
বৈশাখী ও মোফিজুরের বিবাহের বিষয় হাসপাতালের কতৃপক্ষের নিকট জানতে চাইলে বলেন,বৈশাখী অবিহিত বলে আমরা সবাই জানি।
তাছাড়া বৈশাখী রায় সনাতন ধর্মালম্বী। তার বিবাহ হলে তো হাতে সাখা থাকবে। তার ভিতর তেমন কোন পরিবর্তন দেখি না তো। এমনটা জানিয়ে দেন হাসপাতাল কতৃপক্ষ।
এবার অনুসন্ধানী দল মোফিজুরের বাড়ি খাটাইল গ্রামে। জানা যায় মোফিজুর বাড়িতে আসে না দীর্ঘ তিন বছর।
সে কৃষি ব্যাংকে বিভিন্ন জমিজমার কাজ করতে গিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকার দেনা হয়ে পড়ে।
মোফিজুরের পরিবারের সাথে কথা বলতে চাইলে কেহ কথা বলতে রাজি হয়নি।পরে এলাকার এক মুরুব্বি আবুল কাশেম বলেন,
মোফিজুর রহমান বাজুয়ার চুনকুড়ি গ্রামের ডাকাতিয়ার খাল নামক এলাকার বাসিন্দা বরকত সানার মেয়ে সাবিনাকে বিবাহ করে।
পরবর্তীতে কয়েক বছর ঘর সংসার করার পরে বিগত দেড় দু বছর আগে তাদের মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটে।
জানা যায়, মোফিজুরের নামে স্ত্রী করেন মামলা। পলাতক থেকে উক্ত স্ত্রীর পরিবারের সাথে এক পর্যায়ে মিমাংসা করেন তার পরিবার।
সকল তথ্য সংগ্রহ শেষে জানা যায়, বৈশাখী রায় গোপনে মোফিজুরকে বিবাহ করেছেন।এবং দু জন এক সাথে ঘর সংসার করছে।
বৈশাখী রায় তার পরিবারের সাথে কোন প্রকার যোগাযোগ করে না।তার মা দীপ্তি রায় পথে পথে মেয়ের শোকে পাগলের মত ঘুরে বেড়াচ্ছে।
তাই দাকোপ উপজেলা বাসি সহ চালনা পৌরসভা এলাকার বড় খলিশা গ্রামের সকলের দাবি।
বৈশাখী রায়ের বিরুদ্ধে মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে উক্ত হাসপাতালের উপর মহলের দায়িত্বরত পরিচালক মহাদয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র | শনি | রবি |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ৪ | |||
৫ | ৬ | ৭ | ৮ | ৯ | ১০ | ১১ |
১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ |
১৯ | ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ | ২৫ |
২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ | ৩০ |