admin2 ৬ ডিসেম্বর ২০২১ , ৭:২২:১০ 151
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
চুয়াডাঙ্গায় নাতনীর পরকীয়ার ঘটনা জেনে তাতে বাধা দেওয়ায় নানাকে শরীরে বিষ পুশ করে হত্যা করেছে নাতনী কামনা খাতুন (১৯) ও তার পরকীয়া প্রেমিক রাশেদ আলী (২৪)। গত ২৯ নভেম্বর রাতে চুয়াডাঙ্গা পৌর শহরের বেলগাছি এলাকায় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
পরে সে হত্যার দায় চাপানো হয় কামনার সাবেক স্বামী হাসানের ওপর। মামলার প্রেক্ষিতে হাসানকে গ্রেফতারও করে পুলিশ। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করতে গিয়ে তথ্যের ভিন্নতা পায় পুলিশ। পরে রবিবার দুপুরে (৫ ডিসেম্বর) কামনাকে গ্রেফতার করে আদালতে তোলা হলে প্রেমিক রাশেদকে জড়িত করে চুয়াডাঙ্গার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইদুল ইসলামের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী প্রদান করেন।
রাশেদ চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার গাইদঘাট গ্রামের আবু সাইদের ছেলে এবং গ্রেফতারকৃত কামনা খাতুন চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার বেলগাছি ইদগাপাড়ার কামাল মণ্ডলের মেয়ে।
জবানবন্দীর বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, স্বামী হাসানের সাথে ডিভোর্সের আগেই কামনা রাশেদের সাথে সম্পর্কে জড়ান। সেই ছেলের সাথে সম্পর্কের কথা জেনে যায় তার নানা এবং বকাঝঁকাও করেন। পরে রাশেদের বুদ্ধিতেই ঘুমন্ত নানার ঘাড়ে কীটনাশক ভর্তি ইনজেকশন পুশ করেন কামনা। নানা উঠেই রাশেদকে দেখেন। কিন্তু হাসানের চেহারার সাথে মিল থাকায় অন্ধকারে তাকে হাসানই মনে করেন। তাই হাসানের নামই বলতে থাকেন।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন জানান, শামসুলের মৃত্যুর সাথে সাথেই হাসানের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করে পরিবার। মৃত্যুর আগে তার নামও বলে যান শামসুল। তাই গ্রেফতার করা হয় হাসানকে। কিন্তু কামনাকে নির্যাতন, হত্যার হুমকির কথা স্বীকার করলেও হত্যার কথা অস্বীকার করেন হাসান। পরে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদে নাটকীয় মোড় পায় মামলা। কামনা স্বীকার করেন, ঘাড়ে ইনজেকশন পুশ করে নানাকে নিজেই খুন করেছেন তিনি। যা তিনি আদালতেও স্বীকার করেছেন।
সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র | শনি | রবি |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ||||
৪ | ৫ | ৬ | ৭ | ৮ | ৯ | ১০ |
১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ |
১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ |
২৫ | ২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ | ৩০ | ৩১ |