admin2 ৮ ডিসেম্বর ২০২১ , ১১:২২:৪৪ 148
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
আবরার হত্যা মামলার রায়ে শুনে তাঁর মায়ের আহাজারি।
বুয়েটের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার রায়ে তাঁর মা সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।
আজ দুপুর ১২টা ১২ মিনিটে রায় ঘোষণার পর সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন তিনি।
আবরারের মা সন্তুষ্টি প্রকাশ করে বলেন, ‘মামলার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত ব্যক্তিদেরও ফাঁসির আওতায় আনতে হবে। তা না হলে আমরা তাদের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাব।
আমার ছেলের হত্যাকাণ্ডের অন্যতম আসামি অমিতের ফাঁসির রায় আশা করেছিলাম। কেননা, অমিত ঘটনাস্থলে না থাকলেও মোবাইলে এবং সবকিছুতেই সম্পৃক্ত ছিল।’
আবরারের মা কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘ওরা আমার সব শেষ করে দিয়েছে। আমি আজ দুই বছর দুই মাস এই মামলার রায়ের অপেক্ষায় ছিলাম। আদালত যে রায় দিয়েছেন, তাতে আমি এবং আমার পরিবার সন্তুষ্ট।
তবে বাকি পাঁচজনকে ফাঁসির আদেশ না দেওয়ার বিষয়টি আমরা ঠিক বুঝে উঠতে পারছি না। দ্রুত এই ফাঁসির রায় কার্যকরের পাশাপাশি বাকি পাঁচজনের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাব।’
আবরারের ছোট ভাই ফাইয়াজ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা রায়ে খুশি। তবে সবার ফাঁসির আদেশ হলে আমরা আরও বেশি খুশি হতাম।’ তিনি বলেন, ‘আমরা বাকি পাঁচজনের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করব।’
উল্লেখ্য, ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেওয়ার জেরে বুয়েটের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে ডেকে নিয়ে যান বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা-কর্মী। এরপর রাত ৩টার দিকে শেরেবাংলা হলের নিচতলা ও দোতলার সিঁড়ির করিডর থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় ফাহাদের বাবা মো. বরকত উল্লাহ ১৯ জনকে আসামি করে চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার তদন্তে জানা গেছে, রাত ১০টা থেকে একটানা ২টা পর্যন্ত আবরারকে শিবির সন্দেহে পেটানো হয়। ক্রিকেট স্টাম্প, স্কিপিং দড়ি দিয়ে বেধড়ক পেটানো হয়।
কিল-ঘুষি, লাথিও মারা হয়। এভাবে আবরারকে হত্যা করা হয়। এই মামলায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন আট আসামি। তাঁরা হলেন ইফতি মোশাররফ হোসেন সকাল, বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রবিন, মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, অনিক সরকার, মো. মুজাহিদুর রহমান, মনিরুজ্জামান মনির, এ এস এম নাজমুস শাদাত ও তাবাখখারুল ইসলাম তানভীর।
সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র | শনি | রবি |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ||||
৪ | ৫ | ৬ | ৭ | ৮ | ৯ | ১০ |
১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ |
১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ |
২৫ | ২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ | ৩০ | ৩১ |