সকল সংবাদ

পদ্মা নদী ভাঙ্গন রোধ সহ বিভিন্ন দাবিতে জাতীয় সংসদে হাসানুল হক ইনুর ভাষণ

  admin2 ২৭ জানুয়ারি ২০২২ , ১২:৫১:০১ 530

হৃদয় রায়হান //

জাতীয় সংসদে মহামান্য রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের ভাষণের ওপর ধন্যবাদ জ্ঞাপন প্রস্তাবে সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয়ে কুষ্টিয়া -২ ভেড়ামারা-মিরপুর আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য জাসদ সভাপতি জনাব হাসানুল হক ইনু আজ বুধবার সংসদে ভাষণ প্রদান করেন।

হাসানুল হক ইনু তার ভাষণে বলেন, মিরপুর উপজেলার বহলবাড়িয়া, সাহেবনগর, মির্জানগর, মুন্সিপাড়া, রানাখড়িয়া, খাদিমপুর, তালবাড়িয়া ও ভেড়ামারা উপজেলার মসলেমপুর, বাহিরচর সহ বিভিন্ন গ্রামে সাম্প্রতিক পদ্মা নদীর ভাঙ্গনরোধে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।

স্বাধীনতার ৫০ বছর পরেও পাকিস্তান গোপনে ও প্রকাশ্যে বাংলাদেশের বিরোধিতা করে আসছে, সে কারণে পাকিস্তানকে বাংলাদেশের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করা সহ ২৫ মার্চ কালো রাতে নৃশংস হত্যা কে রাষ্ট্রীয় দিবস হিসেবে পালন সহ গণহত্যার আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবি জানান।

বর্তমানে করোনার ধাক্কা তীব্র প্রকট আকারে রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক দুর্বলতা যে প্রকাশ পেয়েছে তা মোকাবেলা করার জন্য সার্বজনীন খাদ্যনিরাপত্তা, সামাজিক সুরক্ষা, চিকিৎসা ও ইন্টারনেট ব্যবহারকে মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকার করে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা, স্বাধীনতার শত বৎসর কে সার্থক করতে হলে ৫০ বছরের মধ্যেই সংবিধানের পর্যালোচনা করা প্রয়োজন।

আন্তঃসীমান্ত নদীর পানি বন্টন এর জন্য তিস্তা নদী সহ সকল আন্তঃসীমান্ত নদীর ন্যায্য হিস্যার জন্য ২০১১ সালে শেখ হাসিনা ও মনমোহন সিংহের যৌথ ঘোষণা বাস্তবায়ন ও নিষ্ক্রিয় নদী কমিশন কে সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানান। বর্তমান সময়ের আলোচিত ডিজিটাল স্বাক্ষর করা দরকার।
এছাড়াও তথ্য নিরাপত্তা আইন, ব্যক্তিগত তথ্য নিরাপত্তা আইন, ই- বাণিজ্য আইন অবিলম্বে চালু করা, অবসরপ্রাপ্ত পাটকল শ্রমিকদের ৩১৬ কোটি টাকা, চিনিকল শ্রমিকদের ৪৮৩ কোটি টাকা, প্রাথমিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের বকেয়া পাওনা ও শ্রমিকদের জন্য জাতীয় মঞ্জুরি কমিশন ঘোষণা করার দাবি জানান।
বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির অশালীন কথাবার্তা দেয়া মনে হয় সরকারের সাথে জনগণ ও ছাত্রদের দূরত্ব সৃষ্টি করছে সেদিকে সরকারকে লক্ষ্য রাখা ও অনুষ্ঠিত গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সহিংসতার দায় প্রশাসনের নেয়া উচিত বলে তিনি দাবী জানান।

এছাড়াও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্য অস্বাভাবিক বৃদ্ধি মূল্য কমাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি জানান। রাজনৈতিক আলোচনায় তিনি বলেন ওমান রাজনীতিতে এদেশে পরিষ্কার দুটি পক্ষ আছে একটি স্বাধীনতার পক্ষে, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে, সংবিধানের পক্ষে ও উন্নয়নের পক্ষে, আর অপরটি হল পাকিস্তানের পক্ষে, জঙ্গিবাদের পক্ষে, সাম্প্রদায়িকতার পক্ষে ও দেশবিরোধীর পক্ষে। সে কারণেই বিএনপি-জামায়াত সব সময় ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকে।

দেশ যখন দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে, মুজিব শতবর্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল ভাংচুরসহ সাম্প্রদায়িকতার লেলিয়ে দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চট্টগ্রামে নাশকতামূলক চালিয়ে যাচ্ছে। তা দেখে মনে হচ্ছে দেশে কোন প্রশাসন নেই, আওয়ামী লীগ নেই, জাসদ নেই, ১৪ দল নেই, এমনকি এমপি ও মন্ত্রী নেই। বিএনপি জঙ্গিবাদে বিশ্বাসী তাই তারা নির্দিষ্ট সময়ের আগেই ক্ষমতায় যেতে চাই। দেশে এর আগেও ৪ বার সুষ্ঠু সুন্দর নির্বাচন হয়েছে।

তখন ও তারা ২১ আগস্টের মত ঘটনা ঘটিয়েছে। তিনি সরকারের উদ্দেশ্য করে বলেন, যখন দেশের ভিতরে ও বাইরে যুদ্ধ চলছে তখন আমাদের ঐক্যের মধ্যে কিছু উইপোকা, ঘর কাটা ইঁদুর লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তারা বর্তমান সরকারের সকল ভাল কাজ বিলীন করে দিচ্ছে। এছাড়াও ঐক্যের মধ্যে ফাটল ধরানোর জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে যা অত্যন্ত দুঃখজনক। এই যুদ্ধে হারের কোন বিকল্প নেই, আমাদের ঐক্যের ঢালকে মজবুত করা সহ মোহাম্মদী বেগের পিছন থেকে খনজী ঢাল রক্ষার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানান।

আরও খবর:

Sponsered content