ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ‘নতুন প্রজন্মকে দোষারোপ করে লাভ নেই। ‘৭৫-এর পর আমাদের পাঠ্যপুস্তকে নানা বিকৃতির সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পড়ানো হয়। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস রচিত হয়েছে মাত্র একটি বাক্যে। এখন সময় এসেছে সঠিক ইতিহাস জানানোর। এই দায়িত্ব আমাদেরই নিতে হবে।
মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘বাংলাদেশের অভ্যুদয়: বুদ্ধিজীবীদের অবদান’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ড.আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ‘বুদ্ধিজীবীরা ছিলেন সত্যের সৈনিক। বঙ্গবন্ধুর ডাক ও আদর্শে সাড়া দিয়ে তারা গড়ে তোলেন বুদ্ধিবৃত্তিক আন্দোলন। এ কারণে তাদের হত্যা করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু যেমন তাঁর নেতৃত্বে দেশের স্বাধীনতা এনেছিলেন, তেমনি বহু সাংবাদিক তাদের বস্তুনিষ্ঠ লেখনী দিয়ে তৎকালীন জনগণকে প্রভাবিত করেছিলেন। ‘
তিনি বলেন, ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। কিন্তু ৩০ লক্ষ সংখ্যা বলতে এক সেকেন্ডও লাগে না। নতুন প্রজন্ম জানে না এই ৩০ লক্ষ শহীদের সাথে কত ঘটনা, কত ইতিহাস জড়িত। তাদের এই ইতিহাস জানানোর দায়িত্ব আমাদের সকল শিক্ষক ও সাংবাদিকদের। ‘
আইয়ুব ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিনের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন ড. নুজহাত চৌধুরী, সিনিয়র সাংবাদিক সোহরাব হাসান প্রমুখ।