স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা ও যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস-২০২১ উদযাপন করেছে। এ উপলক্ষে বিজিবি সদর দপ্তরসহ সব অঞ্চল, প্রতিষ্ঠান, সেক্টর ও ইউনিটে নানা কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।

দিবসের কর্মসূচি অনুযায়ী বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা ১০ মিনিটে বিজিবি সদর দপ্তর ও অন্যান্য ইউনিটে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ অনুষ্ঠানে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম এ তথ্য জানান।

বিজিবি জানায়, সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে বিজিবি মহাপরিচালক পিলখানার বর্ডার গ্লোরিতে মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। বিজিবির একটি সুসংগঠিত দল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায় এবং গার্ড অব অনার প্রদান করে।

এছাড়াও পিলখানার সকল মসজিদে এবং অন্যান্য সকল ইউনিটের মসজিদে মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের আত্মার মাগফেরাত, শান্তি, সমৃদ্ধি ও জাতির অগ্রগতি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। বিজিবির ঐক্য।

দিবসের অন্যান্য কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে বিজিবি সদর দপ্তরের গুরুত্বপূর্ণ ভবন/প্রতিষ্ঠান ও গেইটসমূহে আলোকসজ্জা এবং সারাদেশে বিজিবি ইউনিটের গেট স্থাপন ও স্থাপনা।

এছাড়াও সারাদেশের সকল বিজিবি ইউনিটে বিজিবি সদস্য ও তাদের পরিবার, বিজিবি স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বনভোজনের আয়োজন করা হয়। বিকেলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এলাকায় বাদ্যযন্ত্র বাজাচ্ছেন বিজিবির খেলোয়াড়রা।

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব সম্প্রসারণের পাশাপাশি উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ও আস্থা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিকেলে বেনাপোল-পেট্রাপোল, আখাউড়া-আগরতলা ও বাংলাবান্ধা ফুলবাড়ী সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের যৌথ রিট্রিট অনুষ্ঠিত হয়।

মুজিববর্ষের বিজয় ও সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বিজিবি মহাপরিচালক, বিজিবি সদর দপ্তর ও অন্যান্য পদমর্যাদার সদস্যবৃন্দ, বিজিবি সদস্য ও বেসামরিক কর্মচারী এবং সারাদেশের সকল বিজিবি অঞ্চল ও সংগঠন জাতীয় সংসদ ভবনে শপথ গ্রহণ করেন। বিকেল ৪.৩০ মিনিটে সেক্টর, ব্যাটালিয়ন ও বিওপি পর্যায়ের কর্মকর্তা, বিজিবির অন্যান্য পদমর্যাদার সদস্য ও বেসামরিক কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেন।

বিজিবি জানায়, স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ও মুজিববর্ষের এই শপথ আগামীতে বিজিবির প্রতিটি সদস্যকে অনুপ্রাণিত করবে। এ শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিজিবি’র প্রতিটি সদস্য বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে নতুন অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।