সাদ্দাম হোসেন মধ্যপ্রাচ্যের একটি দেশ দুবাইতে কর্মরত একজন ২৮ বছর বয়সী বাংলাদেশী। দেশে ফিরে চুরির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন ওই যুবক। তার কাজ এখন একাধিক দল গঠন করে বিভিন্ন জায়গা থেকে মোটরসাইকেল চুরি করে বিক্রি করা। রোববার কক্সবাজারের মহেশখালী এলাকা থেকে ওই যুবককে তার এক সহযোগীসহ আটক করে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সাদ্দাম নিজেই এসব তথ্য দিয়েছেন।
চট্টগ্রামের কোতয়ালী থানা থেকে মোটরসাইকেল চুরির অভিযোগে সাদ্দাম হোসেনকে আটক করেছে পুলিশ। এসময় তার সহকর্মী মোঃ খায়রুল আমিন (৩১) কেও আটক করা হয়।
সাদ্দাম কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার বাদশা মিয়ার ছেলে। খায়রুল একই উপজেলার মৃত নুর আহমদের ছেলে।
পুলিশ জানায়, ৩ ডিসেম্বর দুপুর সোয়া ১২টা থেকে পরের দিন সকাল ৭টার মধ্যে কোতোয়ালি থানা এলাকার ইকবাল ভিলার সামনে একটি খালি জায়গা থেকে এক ব্যক্তির মোটরসাইকেল চুরি হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা করেন। তদন্তের দায়িত্বে রয়েছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুকান্ত চৌধুরী।
তদন্তের একপর্যায়ে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে গত রোববার মহেশখালীতে আসামিদের অবস্থান শনাক্ত করা হয়। উপজেলার পানিরছড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে সাদ্দাম ও খায়রুলকে আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে চোরাই মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করা হয়।
এ ব্যাপারে কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন জানান, গ্রেফতারকৃত আসামিদের মধ্যে সাদ্দাম দুবাই থেকে দেশে ফিরে চুরি করেছে। তাদের চক্রে বেশ কয়েকজন সদস্য রয়েছে। যাদের নাম ঠিকানা আমরা সংগ্রহ করেছি। শিগগিরই অভিযান চালিয়ে তাদেরও গ্রেফতার করা হবে।
এদিকে চুরি মামলার দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে সোমবার আদালতে পাঠানো হয়েছে।