সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার মাঠে মাঠে হাজার হাজার টাকার পলিথিন দিয়ে ধানের বীজতলা ঢাকা হচ্ছে।
চলতি বোরো মৌসুমে সাতক্ষীরা জেলায় হাজার হাজার বিঘা জমিতে বোরো ধান চাষের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। ধানের বীজতলা নিয়ে কৃষকরা বিপাকে পড়েছে। প্রচন্ড শীত আর কুয়াশায় বীজতলা মারা যাচ্ছে। ২ কেজি ওজনের ১ প্যাকেট বীজ ধান ৩০০ টাকা, ৫ কেজির প্যাকেট ৫০০ টাকা দিয়ে বাজার থেকে খরিদ করা হয়েছে।
বীজ ধান ১ দিন ১ রাত পানিতে ভিজিয়ে রাখা হয়। এরপর ঝুড়ি, বস্তা, কলার পাতা, পল, কুটা দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়। ওজন অনুযায়ী ইট কাঠ চাপা দেওয়া হয়।
৩ দিন পরে কোয়াল গজায় কোয়াল ওয়ালা বীজধান নিয়ে (পাতার চাতর) জমিতে ছিটিয়ে ও ছড়িয়ে দিতে হয়।
এ সময় ওই ক্ষেতের পানি ১ দিন পর্যন্ত বেঁধে রাখা হয়। ১ সপ্তাহের মধ্যে ধানের গাছ গজিয়ে ২ ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা ও কালো হয়ে যায়।
এ বছর শীত ও কুয়াশায় ধানের বীজতলা হলুদ হয়ে শিকড় পচা রোগে মারা যাচ্ছে। বীজতলা বাঁচিয়ে রাখার জন্য কৃষকরা বীজতলা বা পাতার চাতর পাতলা ও সাদা পলিথিন দিয়ে ঢেকে দেওয়া হচ্ছে।
মিরডাঙ্গা গ্রামের কৃষক আজিবার রহমান, দলুইপুর গ্রামের ফজলু সরদার, যুগিখালী গ্রামের খালেক দেওয়ান মাঠে হাজার হাজার টাকার পলিথিন দিয়ে পাতার চাতর ঢেকে দেওয়া হয়েছে। পলিথিন ছাড়া ধানের চারা বা বীজতলা (ধানের পাতা) বাঁচানো যাবে না বলে অনেকের আশঙ্কা।
ঠান্ডা ও কুয়াশায় ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। পলিথিন ছাড়া কোন উপায় নেই। একমাত্র উপায় পলিথিন দিয়ে বীজতলা রক্ষা করতে হবে। এছাড়া আর কোন উপায় নেই।