সাতক্ষীরায় একটি মামলায় তিনজনকে আটক করেছে র্যাব। বৃহস্পতিবার ভোর ৪টার দিকে পাটকেলঘাটা থানার বলফিল্ড মোড় থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন তালা সদর ইউনিয়নের আতারাই গ্রামের অনিল দাস (৬০), তার ছেলে মন্দার দাস (২০) ও নিহতের স্বামী গোবিন্দ দাস (৩০)।
র্যাব সাতক্ষীরার কোম্পানি ক্যাপ্টেন মো. ইশতিয়াক হোসেন জানান, তালা থানার আতারুই গ্রামের অনিল দাসের ছেলে গোবিন্দ দাস পাঁচ বছর আগে পাটকেলঘাটা থানার আমানুল্লাহপুর গ্রামের সূর্যকান্ত দাসের মেয়ে শিখা রানী দাসকে বিয়ে করেন। বর্তমানে তাদের দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের দাবিতে শিখা রানী দাসকে মারধর করত গোবিন্দ দাস ও তার পরিবারের সদস্যরা।
স্থানীয়ভাবে বিভিন্ন সময়ে সালিশ বৈঠক হলেও কোনো সমাধান পাওয়া যায়নি। জানুয়ারির সকালে শিখাকে নির্যাতন করে হত্যার পর স্বামী, শ্যালক ও শ্বশুর পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় তালা থানায় মামলা করেছেন নির্যাতিতার বাবা সন্যকান্ত দাস। লাশ উদ্ধারের পর পুলিশ ঘটনার সত্যতা জানতে পেরে নিহত শিখার শাশুড়ি বিল্ব রানী দাসকে আটক করে।
বৃহস্পতিবার ভোর ৪টার দিকে পাটকেলঘাটা বলফিল্ড এলাকা থেকে নিহতের শ্বশুর অনিল দাস, স্বামী গোবিন্দ দাস ও শ্যালক মন্দার দাসকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযুক্তদের তালা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।