পাবনার সুজানগরে পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত এক সদস্য হত্যার ঘটনায় মামলার প্রধান অভিযুক্ত আসামি আশরাফ আলীসহ পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত পুলিশ সদস্য জাহাঙ্গীর আলম ওরফে জানু (৬৮), তিনি পাবনার ভবানীপুর গ্রামের মৃত হাসেন খোন্দকারের ছেলে। তিনি গত বছরের অক্টোবর মাসে পুলিশের চাকরি থেকে অবসরে যান।
মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) বিকেলে সুজানগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হান্নান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সোমবার (২২ আগস্ট) হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে মামলার পাঁচ আসামিকে আটক করে।
আটককৃত অন্য চার অভিযুক্ত হলেন উপজেলার তাঁতীবন্দ ইউনিয়নের জিয়ালগাড়ী ভবানীপুর গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে আকরাম হোসেন, খলিলুর রহমানের ছেলে আনোয়ার হোসেন, আরশেদ আলীর ছেলে নাজমুল হোসেন ও সাঁথিয়া থানার ভৈরবপুর গ্রামের মোকারম হোসেনের ছেলে মনিরুল ইসলাম।
মঙ্গলবার দুপুরে এ ঘটনায় নিহত অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে জুবায়ের খোন্দকার তার বাবা হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগ এনে ২৪ জনকে আসামি করে সুজানগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
ওসি আব্দুল হান্নান জানান, পাঁচ বছর আগের একটি ধর্ষণের ঘটনায় তাদের মধ্যে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা হয়েছিল। সেই জেরে এ ঘটনা ঘটেছে। দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে হত্যা করার বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছি। ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করে গতকালই পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। সার্বিক দিক বিবেচনা করে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক ব্যক্তিরা হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। মামলার অপর আসামিদের আটকের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আটককৃত আসামিদের পুলিশ রিমান্ডের আবেদনসহ মঙ্গলবার বিকেলে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে বলে জানান ওসি।
প্রসঙ্গত, সোমবার (২২ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সুজানগর উপজেলার তাঁতিবন্ধ ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামে অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য জাহাঙ্গীর হোসেন জানুকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় ১০ জনের মতো আহত হয়েছে।
সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য তার ভাই মতিনকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ির পাশের রেললাইনে বসে ছিলেন। এ সময় রেললাইনের দক্ষিণ পাশ থেকে শতাধিক লোকজন প্রকাশ্যে হাঁসুয়া, বল্লম, টেঁটা ও চাপাতিসহ অতর্কিত হামলা করে প্রতিপক্ষের লোকজন। পরে তাকে উদ্ধার করে পাবনা সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।