আজকের শিক্ষার্থীরাই আগামী দিনের বাংলাদেশ। সুখী-সমৃদ্ধ দেশ গড়তে হলে আগামী প্রজন্মকে সঠিকভাবে শিক্ষিত করা ছাড়া আমাদের কোনো বিকল্প নেই। শিশু-শিক্ষার্থীরা পারিবারিক বিদ্যালয়কে তাদের শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে গ্রহণ করে।
শিশুরা স্কুলে বসতে সুখী, নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যকর, তবে স্কুলে যাওয়ার জায়গাটি অবশ্যই ভেজালমুক্ত, আনন্দদায়ক এবং যথাযথ নিরাপত্তার বিষয়ে উদ্বিগ্ন হতে হবে। কিন্তু অমাবস্যার কালো রাতে পরিস্থিতি কতটা সহজে ছুঁয়ে যায় তা সহজেই অনুমেয় যখন স্কুলে যাওয়ার পথ নিরাপত্তাহীনতায় ভরপুর, বন্ধুদের পথ আর প্রতি কোণে বিপজ্জনক মাঠ।
সাতক্ষীরা শহরের তথাকথিত ভাসমান প্রাণ সায়ের খাল দিয়ে শিশু ও শিক্ষার্থীদের পারাপার সম্পর্কে এমন একটি অধ্যায়ের দিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে যা শিক্ষার্থীদের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক। প্রাথমিক শিক্ষার্থীরা সোলারের মাধ্যমে স্কুলে যাওয়ার জন্য নদী পার হওয়া কেবল বিপজ্জনকই নয়, উদ্বেগজনক এবং আশ্চর্যজনকও বটে।
শিক্ষার্থীরা পূর্ণ ভাসমান সৌর প্যানেল ভেঙ্গে বর্তমান জীবনের যেকোনো সময় নদীতে ভাসতে পারে এবং সাঁতার জানে না এমন শিক্ষার্থীরা ডুবে যেতে পারে। সাতক্ষীরা শহরের প্রাণ সায়ের খালে আজকের শিক্ষার্থীরা এমন বিপজ্জনক পরিস্থিতির সম্মুখীন হওয়ায় শিক্ষার্থীদের নিরাপদ যাত্রা ও নিরাপদ জীবনের কোনো বিকল্প নেই।
সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক বিষয়টি খতিয়ে দেখে অবিলম্বে প্রাণসায়ের ওপর সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জনগণের প্রত্যাশা।