কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম বলেন, শুধু উৎপাদন বাড়ালেই হবে না, কৃষিকেও বাণিজ্যিকীকরণ করতে হবে। বর্তমান সরকার সে লক্ষ্যে পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করছে। কৃষি ও কৃষকদের সার্বিক উন্নয়নে কৃষি মন্ত্রণালয় এবং এর অধীনস্থ বিভাগ/সংস্থাগুলো অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে।
রোববার বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় নোয়াখালীর বিএডিসি ফার্ম, সুবর্ণচরে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট আয়োজিত ‘চট্টগ্রাম অঞ্চলে বোরো ধানের ফলন বৃদ্ধি’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
কৃষি সচিব বলেন, ধানের উৎপাদন বাড়াতে কোনো আপস করা যাবে না। কারণ আমাদের খাদ্য নিরাপত্তা মানেই চালের নিরাপত্তা। ধানের ক্ষেত্রে আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছি, তা ধরে রাখতে হবে। এছাড়া অন্যান্য সবজি, ফল ও বাণিজ্যিক ফসলের আবাদ আরও বাড়াতে হবে। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত হলে আমাদের অনেক কৃষিজমি ও শ্রমিক শিল্পে যাবে, এটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। এসব বিষয় মাথায় রেখে নতুন ধানের জাত ও প্রযুক্তি ছড়িয়ে দিতে হবে। যাতে কম সময়ে, কম খরচে, কম জমি থেকে বেশি ফলন পাওয়া যায়।
তিনি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সাথে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের নেটওয়ার্ক শক্তিশালী করার আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মো. শাহজাহান কবিরের সভাপতিত্বে কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিএডিসি সুবর্ণচর প্রকল্প পরিচালক মো. আজিম উদ্দিন। কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান এ এফ এম হায়াতুল্লাহ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আসাদুল্লাহ, বাংলাদেশ চিনি ফসল গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ডা. মো. আমজাদ হোসেন, বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ডা. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম প্রমুখ।