সাতক্ষীরা সিটি কলেজের প্রভাষক মামুন হত্যা মামলার আসামি জেলা জামায়াতের সাবেক প্রচার সম্পাদক আলতাফ হোসেনকে আটকের পর নারায়ণগঞ্জ থেকে সাতক্ষীরায় আনা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে র্যা ব-১ এর সদস্যরা তাকে সাতক্ষীরা সদর পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। এর আগে মঙ্গলবার রাতে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের মধুখালী এলাকার একটি বাসা থেকে তাকে আটক করা হয়।
আলতাফ হোসেন সাতক্ষীরা থেকে প্রকাশিত দৈনিক আলোর পরশ (বর্তমানে বন্ধ) সম্পাদক ও সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি ছিলেন।
শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) সকাল ১১টায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাতক্ষীরা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বাবুল আক্তার জানান, জমির দালালি ও রিয়েল এস্টেট ব্যবসার নামে প্রতারণার অভিযোগে আলতাফ হোসেনকে আটক করেছে র্যা ব। মামুন হত্যা মামলা ছাড়াও তার বিরুদ্ধে আরও ১৪টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি উল্লেখ করেন, জামায়াত নেতা দেলোয়ার হোসেন সাইদীর ফাঁসির আদেশের পর ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি সাতক্ষীরা সিটি কলেজের প্রভাষক এবিএম মামুনকে হত্যার অভিযোগে আলতাফ হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। এর আগে ও পরে তার বিরুদ্ধে আরও অন্তত ১৩টি বিস্ফোরক ও নাশকতার মামলা রয়েছে। হত্যাসহ আরও কয়েকটি মামলা বিচারাধীন।
প্রেস ব্রিফিংয়ে বলা হয়েছে, তার বিরুদ্ধে সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র এবং পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার পাশাপাশি সহিংসতা এবং জেলাব্যাপী অবরোধের নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ২০১৩ থেকে ২০১৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সাতক্ষীরায় জামায়াত শিবিরের লোকজন ব্যাপক সহিংসতার মাধ্যমে অন্তত ১৭ নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে। তারা লাঠি, ধারালো অস্ত্র ও বিস্ফোরক নিয়ে সাতক্ষীরা শহরের দিকে অগ্রসর হতে থাকে।
এ সময় সার্কিট হাউসের মোড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে তাদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এতে অন্তত ৭ অপরাধী নিহত হয়েছে। সহিংসতায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন জেলা জামায়াতের আলতাফ হোসেন। প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশের পরিদর্শক আব্দুল আজিজ ও সেকেন্ড অফিসার উপ-পরিদর্শক মঞ্জরুল হাসান উপস্থিত ছিলেন। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শুক্রবার তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।