যুক্তরাষ্ট্রের নারী ক্রিকেট দলের ২৭০ রানে হেরিয়েছে বাংলাদেশ নারীরা। মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) জিম্বাবুয়েতে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে মার্কিন মহিলা ক্রিকেট দলকে হেরিয়েছে বাঘিনীরা। এটি ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশের নারী দলের সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয়।
হারারের সানরাইজ স্পোর্টস ক্লাবে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। মুর্শিদ খাতুনের সঙ্গে উদ্বোধনী ওভারে ৯৭ বলে ৯৬ রান যোগ করেন শারমিন। ৫৬ বলে ৪৭ রান করে থেমে যান মুর্শিদ।
৩৩ রানে আউট হন অধিনায়ক নিগার সুলতানা। তবে তৃতীয় উইকেটে ফারজানা হকের সঙ্গে ১৩৭ রানের জুটি গড়েন শারমিন। ৬২ বলে ৬৭ রান করে থামেন ফারজানা। ইনিংসের ৪৩তম ওভারের প্রথম বলেই বাউন্ডারি মেরে জুটিকে তিন অঙ্কে নিয়ে যান শারমিন। ২৫ বছর বয়সী ডানহাতি ব্যাটার সেঞ্চুরি করতে ১১৭ বল খেলেন।
ইনিংসের শেষ পর্যন্ত ব্যাটিং করে দলকে বড় সংগ্রহ এনে দেন শারমিন। বাংলাদেশ ৫০ ওভারে ৫ উইকেটে ৩২২ রান করে। বাংলাদেশ নারী ওয়ানডে দলের ইতিহাসে এটাই সর্বোচ্চ দলীয় রান। বাংলাদেশের আগের সর্বোচ্চ দলীয় রান ছিল ৯ উইকেটে ২১১। যা বাংলাদেশ ২০১৯ সালে লাহোরে পাকিস্তান মহিলা দলের বিপক্ষে করেছিল। ১৪১ বলে ১১ চারে নান্দনিক ও স্মরণীয় ইনিংস খেলেন শারমিন।
জবাবে ৩২৩ রানের বড় টার্গেট নিয়ে বাংলাদেশের বোলারদের তোপের মুখে পড়ে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্র ৩০.৩ ওভারে ৫২ রানে গুটিয়ে যায়। মাত্র দুই মার্কিন ব্যাটার দুই অঙ্কের কোটা স্পর্শ করতে পারে। সর্বোচ্চ ১৬ রান করেন নরিস। বাংলাদেশের সালমা খাতুন ১০ রানে, ফাহিমা খাতুন ৫ রানে ও রুমানা আহমেদ ১১ রানে দুইটি করে উইকেট নেন।
ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে এটাই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ দলীয় স্কোর। এর আগে ২০১৯ সালে, বাংলাদেশ মহিলা দল লাহোরে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৯ উইকেটে সর্বোচ্চ ২১১ রান করেছিল।
শারমিন আক্তারের সেঞ্চুরিটিও বাংলাদেশের ওয়ানডে ক্রিকেটে প্রথম সেঞ্চুরি। এর আগে ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ ইনিংস ছিল সালমা খাতুন ও রুমানা আহমেদের। ২০১৩ সালে আহমেদাবাদে ভারতের বিপক্ষে সালমা অপরাজিত ৭৫ রানের ইনিংস খেলেন। পরের ম্যাচে রুমানাও একই ভেন্যুতে একই প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে ৭৫ রান করেন।