সাতক্ষীরার কালিগঞ্জের মথুরেশপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারণা জমে উঠেছে। নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের ভিড়ও ততই বেড়েছে। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও তাদের কর্মী সমর্থকরা পুরো নির্বাচনী এলাকায় টহল দিচ্ছেন। উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট চাই। সব মিলিয়ে শেষ মুহূর্তের জমে উঠেছে নির্বাচনে।
উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, মথুরেশপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ১১ জন, সাধারণ ওয়ার্ড সদস্য পদে ৪০ জন এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ড সদস্য পদে ১৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ফিরোজ আহমেদ (নৌকা), স্বতন্ত্র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাকিম (রজনীগন্ধা), সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শেখ এএইচ ওয়াহেদ মারুফ (আনারস), শাহজাহান সিরাজ খান (মোটর সাইকেল), রমেশ চন্দ্র বিশ্বাস (অটোরিকশা), মো. মিজানুর রহমান (ঢোল), কমিউনিস্ট পার্টির প্রার্থী শেখ তরিকুল ইসলাম (চাকা), শেখ আলাউদ্দিন সোহেল (ঘোড়া), শেখ নাজমুল ইসলাম (টেবিল ফ্যান), আকুঞ্জি বাবলুর রহমান (টেলিফোন) ও শেখ মোজাফফর হোসেন (চশমা) প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এ ইউনিয়নে মোট ভোটার ২২ হাজার ৬৮৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১১,৩৭২ জন এবং মহিলা ভোটার ১১,৩১৬ জন। সরেজমিনে দেখা গেছে, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান, সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত ওয়ার্ড সদস্য পদের প্রার্থীরা নির্বাচনী এলাকায় গণসংযোগ ও প্রচারণায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পোস্টার-ব্যানার ছড়িয়ে পড়েছে ইউনিয়নের বিভিন্ন হাট-বাজার, রাস্তা-ঘাট, পাড়া-মহল্লা, অলি-গলিতে।
প্রার্থীদের প্রচারণার ভ্যান, অটোরিকশা ও ইজিবাইক হয়ে উঠেছে টক অব দ্য টাউন। প্রতিটি প্রার্থীর পাশাপাশি তাদের সমর্থক নেতাকর্মীরা বিভিন্ন স্থানে প্রচারণা, পথসভা, উঠান বৈঠক, গণসংযোগ অব্যাহত রেখেছেন।
তবে এবার চেয়ারম্যান পদে ১১ জন প্রার্থীর মধ্যে সাধারণ ভোটারদের সঙ্গে তুমুল লড়াই হবে বলে জানা গেছে। অধিকাংশ ভোটার বলেন, মথুরেশপুর ইউনিয়নে যে দুর্নীতি ও মাদক মুক্ত করতে পারবে, সরকারের চলমান উন্নয়ন কর্মকাণ্ডকে এগিয়ে নিয়ে যাবে তাকেই আমরা নির্বাচিত করব। মথুরেশপুর ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী ফিরোজ আহমেদ বাবু বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে নৌকা প্রতীক দিয়েছেন। আমি নির্বাচিত হলে নেতার হাতকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি ইউনিয়নে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখব।
বর্তমান চেয়ারম্যান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মিজানুর রহমান গাইন বলেন, আমি ঢোল প্রতীক নিয়ে মাঠে আছি। আশা করি ইউনিয়নের জনগণ আমাকে আবারও চেয়ারম্যান করবেন। উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা অনুজ গাইন জানান, প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় ইউপি নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি চলছে। আশা করি এবারের নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হবে।