সোমবার (০১ নভেম্বর) থেকে জাটকা শিকারের নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়েছে। আগামী বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত দেশে জাটকা সংগ্রহ, পরিবহন, মজুদ, বিক্রি ও বাজারজাতকরণ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ সময় জাটকা নিধন বন্ধে অভিযান ও ভ্রাম্যমাণ আদালত সারাদেশে অব্যাহত থাকবে।
এ প্রসঙ্গে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. ইফতেখার হোসেন জানান, আজ (০১ নভেম্বর) থেকে আট মাসের জন্য জাটকা নিধনে নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়েছে। এ সময় জাটকা শিকার, সংগ্রহ, সংরক্ষণ বা বিক্রি করা যাবে না। ইলিশ মাছের উৎপাদন বাড়াতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ সময় অভিযান ও ভ্রাম্যমাণ আদালত চলবে। মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বেশ কিছু কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে।
জাটকা নিধন প্রতিরোধে কার্যক্রম:
* পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার আন্দরমানিক নদীতে ইলিশের চতুর্থ অভয়ারণ্যে আগামী জানুয়ারি পর্যন্ত তিন মাস সব ধরনের মাছ ধরা বন্ধ থাকবে। এ সময় নদীতে নিয়মিত অভিযান ও ভ্রাম্যমাণ আদালত অব্যাহত থাকবে।
* জাটকাসহ অন্যান্য সামুদ্রিক মাছের ডিম, লার্ভা ও পেনা সংরক্ষণের লক্ষ্যে অবৈধ জাল নির্মূলে দুই ধাপে জানুয়ারি মাসে ১৫ দিন বিশেষ চিরুনি অভিযান চালানো হবে।
* বাকি পাঁচটি অভয়ারণ্যে মার্চ ও এপ্রিল দুই মাস সব ধরনের মাছ ধরা বন্ধ থাকবে। এ সময় অভয়ারণ্যে নিয়মিত অভিযান ও ভ্রাম্যমাণ আদালত অব্যাহত থাকবে।
* জাটকা সংগ্রহ থেকে বিরত থাকা জেলেদের মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় ফেব্রুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত চার মাস প্রতি মাসে ৪০ কেজি হারে ভিজিএফ চাল বিতরণ করা হবে।
* জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ-২০২২ ইলিশ সম্পদের উন্নয়ন এবং জাটকা সংরক্ষণের প্রচারের লক্ষ্যে আরও জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে মার্চ ও এপ্রিল মাসে পালিত হবে।
এছাড়া জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে জনসচেতনতা সভাসহ ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রচারণা, ব্যানার, ফেস্টুন ও লিফলেট বিতরণ করা হবে।