শুরু থেকেই বাংলাদেশের পেস বোলিং দুর্বলতা। দেশে খুব কম উচ্চ মানের ফাস্ট বোলার আছে। ওয়ানডে স্ট্যাটাস পাওয়ার আগে জাহাঙ্গীর শাহ বাদশা, তারপর জিএম নওশের প্রিন্স, ক্যারিয়ারের শুরুতে মাশরাফি বিন মর্তুজা, পরে শাহাদাত হোসেন রাজীব এবং এখন মোস্তাফিজুর রহমান ও তাসকিন আহমেদ সে অর্থে আসেননি।
আপনি এটি শুনতে পারেন, কিন্তু কঠিন সত্য হল মানসম্পন্ন পেস বোলারের অভাবের কারণে, বাংলাদেশ সব ফরম্যাটে পেস বাদ দিয়ে স্পিন বোলিং পিচকে আদর্শ বা সর্বোত্তম ক্ষেত্র হিসাবে বেছে নিয়েছে। তাই বাংলাদেশের বোলিং সবসময়ই স্পিনকেন্দ্রিক। ঘরের মাঠে যেকোনো দলের বিপক্ষে খেলার মূল ভিত্তি স্পিনাররা।
অতীতে ঘরের মাঠে টেস্ট পেসার দেখেছে বাংলাদেশ। স্পিনাররা সেটাই করেছে। এভাবে এক ঝাঁক স্পিনার দিয়ে দু-একজন ফাস্ট বোলারের টেস্ট জয়ের সংখ্যা কম নয়।
কিন্তু দেশে নামার পর বাংলাদেশ চলে গেছে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড বা দক্ষিণ আফ্রিকায়। কারণ সেসব দেশের বেশির ভাগ উইকেটই দ্রুত বাউন্সের। তাই পেসারদের কার্যকারিতা ছাড়া সেখানে সাফল্য পাওয়া কঠিন।
নতুন বছরের প্রথম সকালে মাউন্ট মুঙ্গানুইয়ে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের আগের রাতে বাংলাদেশি ভক্তদের মনে একটাই প্রশ্ন- নিউজিল্যান্ডের পিচে কী করবেন বাংলাদেশের পেসাররা? তারা কি সুবিধাজনক পরিস্থিতিতে নিজেদের মেলে ধরতে পারবে?
এই প্রশ্নের উত্তর দিলেন অধিনায়ক মুমিনুল হক। তার ধারণা ও ধারণা এবার নিউজিল্যান্ডের মাটিতে স্বাগতিকদের বিপক্ষে ভালো করবে তাসকিন-ইবাদত-রাহি-শরিফুলরা।
টেস্ট শুরুর ১৫-১৮ ঘণ্টা আগে আজ (শুক্রবার) বাংলাদেশ সময় দুপুর পৌনে ১২টা বাংলাদেশের ফাস্ট বোলারদের নিয়ে কথা বললেন টাইগার অধিনায়ক। তার দাবি, গত কয়েক বছরে পেসারদের অনেক উন্নতি হয়েছে। তাই তাদের কাছ থেকে ভালো কিছু আশা করা যায়।
মুমিনুলের কথায়, “গত কয়েক টেস্টে তাসকিন ভালো বোলিং করেছে। ইবাদতও শেষ দুই টেস্টে খুব ভালো পারফর্ম করেছে। রাহি ও শরিফুলও ভালো ফর্মে আছে। খালেদ ও শহিদুলও ভালো ফর্মে আছে।”
তিনি যোগ করেছেন: “আমি মনে করি আমাদের ফাস্ট বোলাররা গত এক বা দুই বছরে অনেক উন্নতি করেছে। নিউজিল্যান্ড সিরিজে তাদের দেখে আমি রোমাঞ্চিত। আমি মনে করি তাদের দায়িত্ব এখানে একটু বেশি হবে। একজন অধিনায়ক হিসেবে আমি আশাবাদী। আমি আশা করি আপনি কাছে থেকে ভালো কিছু দেখতে পাবেন।’