ফিলিপাইনে টাইফুন রাইয়ের আঘাতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১২ জনে দাঁড়িয়েছে। নিখোঁজদের খোঁজে এখনও তল্লাশি চলছে। ঘূর্ণিঝড় এলাকায় ব্যাপক গাছপালা ও বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে ফেলে। গ্রাম প্লাবিত ৩ লক্ষ’র বেশি মানুষ তাদের বাড়িঘর এবং সৈকত রিসর্ট ছেড়ে পালিয়েছে।
এটি মূলত ফিলিপাইনের দক্ষিণ ও মধ্যাঞ্চলে আঘাত হানে। শুক্রবার (১৭ ডিসেম্বর) আল জাজিরার একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
দেশটির ন্যাশনাল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটির নির্বাহী পরিচালক রিকার্ডো জালাদ বলেছেন, টাইফুন সিয়ারগাও দ্বীপের ব্যাপক ক্ষতি করেছে। তিনি বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১২ জন নিহত হয়েছেন।
নিগ্রোস অক্সিডেন্টাল প্রদেশের গভর্নর ইউজেনিও হোসে বং ল্যাকসন বলেছেন, রাজ্যের দক্ষিণে একটি শহর টাইফুনে প্লাবিত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বহু বাড়িঘর, গাছপালা ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। দেশটির কোস্টগার্ড ও পুলিশ উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) একটি সুপার টাইফুন ফিলিপাইনের জনপ্রিয় পর্যটন দ্বীপ সিয়ারগাওতে আঘাত হেনেছে। সে সময় বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৭৫ কিলোমিটার। দ্বীপের কিছু অংশে বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ লাইন বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে ফ্লাইট ও বন্দর।
রাই এই বছর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী টাইফুনগুলির মধ্যে একটি। ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অফ দ্য রেড ক্রসের স্থানীয় প্রধান আলবার্তো বোকানেগ্রা বলেছেন, দানবীয় ঝড়টি “ভয়াবহ”। যা দেশের উপকূলীয় বাসিন্দাদের জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়াবে।