পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, “আমি স্বল্প আয়ের মানুষ ছিলাম। ঢাকায় একা ছিলাম। আমার পরিবার এখানে ছিল না। আমি কম দামে মেসে থাকতাম যার মাসিক ভাড়া ছিল মাত্র ৬টার।আর খাওয়া খরচ মাত্র ৩০ থেকে ৩৫ টাকা। আমি একটা কাঠের তৈরি মেসে থাকতাম।’
বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশে (আইডিইবি) মুজিব মানে বাংলাদেশ স্মৃতিসৌধের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব ইলিয়াস কাঞ্চন, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মকবুল হোসেন, প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুকিত মজুমদার বাবু প্রমুখ।
ছাত্র জীবনের কথা স্মরণ করে মন্ত্রী বলেন, পকেটে টাকা না থাকলেও আমরা অনেক আনন্দ করেছি। দুপুরে পল্টন ময়দানে খেতাম। কেউ ভাষণ দিচ্ছে, ভাগ্য ভালো হলে বঙ্গবন্ধুকে পেতাম। এটি অন্য ধরনের রোমাঞ্চকর। কখনো মালিবাগ, কখনো স্বামীবাগ, কখনো ধানমন্ডি গিয়েছি বক্তৃতা শুনতে। তার পকেটে টাকা ছিল না। কোনোভাবে চলে যেত। এভাবে পুরো কৈশর কেটে গেছে।
পাকিস্তানে ছাত্র জীবনের কথা স্মরণ করে মন্ত্রী বলেন, “আমি পঞ্চাশের দশকে পাঞ্জাবে গিয়েছিলাম পাঁচ বছর পড়ার জন্য। আমি তখন কিশোর। আমার তরুণ মন, আমি আমার মাকে পাঞ্জাবের সুনামগঞ্জে রেখে এসেছি। অবাঙালি, উর্দু ভাষা, ভাত, মাছ, মাংস নেই সব কিছুই আমার মনের বাইরে ছিল।
“প্রথমবারের মতো, আমি ব্যবধান বুঝতে পারি,” তিনি বলেছিলেন। আমি শুধু বাংলা ভাষা জানতাম। এই প্রথম বুঝলাম একটা ফাঁক আছে। আমরা সবাই শিশু-কিশোর ছিলাম, কিন্তু তারপরও পাকিস্তানিরা নানা আচরণের শিকার হয়েছি। মনে মনে জানতাম ওদের আর আমাদের মধ্যে একটা ব্যবধান ছিল। আমাদের বেশিরভাগ শিক্ষক ছিলেন ব্রিটিশ সাদা। ক্যাডেট কলেজে ২০০ জন শিক্ষার্থী ছিল। এর মধ্যে ৩০ জন বাঙালি এবং বাকিরা অবাঙালি। এটি একটি মহান সাংস্কৃতিক চাপ ছিল. নিজের ভাষায় কথা বলার সুযোগ ছিল কম। খাবারের কথা এলে মায়ের রান্না মিস করতাম।
মন্ত্রী বলেন, “সে দেশের শিক্ষকদের অপমানের কারণে আমি সবচেয়ে বেশি কষ্ট পেয়েছি। এত কষ্ট পেয়েছি। ছাত্ররা যখন মাঠে বসে আইয়ুব খানকে নিয়ে কথা বলছিল, তখন আমরা ভাবছিলাম কার সঙ্গে কথা বলব। তখন আমাদের জননেতা বঙ্গবন্ধু শুধু গর্জন করছিল।আমি আশ্রয় পেলাম।পরে দেশে ফিরে আসি ১৯৬২ সালে।১৯৬২ সালে বঙ্গবন্ধু মঞ্চ দখল করেন।বঙ্গবন্ধুর মূল লক্ষ্য ছিল দেশের মানুষকে বোঝানো।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, সূর্য পৃথিবীর শক্তির উৎস এবং আমাদের ভিত্তি স্বাধীনতা। বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার মধ্য দিয়ে গেছেন। আমরা বঙ্গবন্ধুর কাছে চির কৃতজ্ঞ।