বেশ কিছু ঋতুর পর ভারতের দার্জিলিংয়ে তুষারপাত হওয়ায় আনন্দে মেতে উঠেছেন পর্যটকরা। তবে এই উত্তেজনা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। পাহাড়ে অবিরাম তুষারপাতের কারণে সান্দাকানসহ তুমলিং এলাকায় অনেক পর্যটক আটকা পড়েছেন। রাস্তায় বরফ থাকায় তারা নামতে পারেননি।
তবে বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) স্থানীয় জেলা প্রশাসন তাদের উদ্ধার করে। সবাই স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এসেছে বলে জানা গেছে। তাদের জন্য খাবারের ব্যবস্থাও করেছে প্রশাসন।
সকাল থেকেই সান্দাকানে হালকা তুষারপাত হচ্ছে। নতুন বছরের আগে পাহাড়ে তুষারপাত বাড়তি আনন্দ দিয়েছে পর্যটকদের। বুধবার, শ্বেতপাথরের রানী তার নিজের রূপ ধারণ করেন। আর পর্যটকরা সান্দাকানে যায় ঘুমাতে, মল দেখার পাশাপাশি বরফ দেখতে।
টুমলিং এর ঠিক পাশেই। সেখানে তুষার দেখে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন তারা। কিন্তু বরফের পরিমাণ এত বেশি ছিল যে তারা আর ফিরতে পারেনি। ঠিক তখনই স্থানীয় বাড়ির মালিকরা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। তারা পর্যটকদের জন্য রাত্রিযাপনের পাশাপাশি খাবার সরবরাহ করে। ল্যান্ড রোভার অ্যাসোসিয়েশন স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে এমনকি রাস্তা পরিষ্কার করার জন্য সহযোগিতা করেছে।
পর্যটকদের উদ্ধারে আজ সকালে পুলিশ ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে। তারা গিয়ে তুমলিং থেকে ২৩৫ জন পর্যটককে নামিয়ে আনে। জেলাশাসক এস পুনাম্বলম বলেন, খবর পেয়ে আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। তবে এলাকাবাসীসহ এসএসবি কর্মীরা অনেক সহযোগিতা করেছেন।
তারা বলছেন, হোম স্টে মালিকরা যেভাবে এগিয়ে এসেছেন তা পর্যটকদের বাঁচিয়েছে। এমনকি ল্যান্ড রোভার অ্যাসোসিয়েশনও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। তাই আমরা ২৩৫ জন পর্যটককে সুস্বাস্থ্যের মধ্যে আনতে পেরেছি। এছাড়াও অনেকেই সেখানে ট্রেকিং করছেন। পুলিশ ও বেসামরিক প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারাও তাদের পর্যবেক্ষণ করছেন বলে জানিয়েছেন।
অন্যদিকে, এদিন সিকিমের লাচুং থেকেও পর্যটকদের উদ্ধার করা হয়। স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশের সহায়তায় পর্যটকদের ভালো অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া