আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা পরেই শুরু হবে ইংরেজি নববর্ষ ২০২২। সময়ের পরিক্রমায় ২০২১ সালকে বিদায় জানিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানাবে বিশ্ব। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। দেশে মহামারি করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) প্রাদুর্ভাবের কারণে বছরের শেষ রাত (থার্টি ফার্স্ট নাইট) পালিত হয়েছে। এ বছর সংক্রমণ কম হওয়ায় নতুন বছরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন নগরবাসী।
অন্যদিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। সীমিত যানজটের কারণে বেশিরভাগ মানুষ বিশেষ করে তরুণ-তরুণীরা ঘরে বসেই নববর্ষের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এরই অংশ হিসেবে সকাল থেকেই ফুলের দোকান ও নামিদামি বেকারিতে উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
সরেজমিনে রাজধানীর শাহবাগসহ বেশ কয়েকটি ফুলের দোকান ঘুরে দেখা গেছে। দেশ-বিদেশের বিভিন্ন ফুল কিনতে ফুলের দোকানে ভিড় করছেন সব বয়সের ক্রেতারা। বিক্রি ভালো হওয়ায় বিক্রেতাদের মুখে হাসি ফুটেছে।
চাহিদা বেশি থাকায় অন্যান্য দিনের তুলনায় এদিন ফুলের দাম একটু বেশি। বিদেশি গোলাপ প্রতি পিস ১২০ থেকে দেড়শ টাকা এবং দেশি গোলাপ ৩০ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সাধারণ দিনে বিদেশি গোলাপ ৭০-৮০ টাকা এবং দেশি গোলাপ ৫-১০ টাকায় বিক্রি হয়। অন্যান্য ফুলও দ্বিগুণ দামে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
ফুল বিক্রেতারা বলছেন, করোনা সংক্রমণ কমলেও ব্যবসা স্বাভাবিক হয়নি। সারা বছর ফুলের বিক্রি ভালো হয় না। সাম্প্রতিক কর্পোরেট কেলেঙ্কারির ফলে এই বিশেষত্বের চাহিদা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। গত বছরের তুলনায় এবার বেচাকেনা অনেক ভালো বলে জানান তারা।
ফুলের দোকান ছাড়াও বিভিন্ন নামী ব্র্যান্ডের (সুইস, কুপার্স, বেকারস, টেস্টি ট্রিটস, এ-ওয়ান, সুইটস এবং অন্যান্য) বেকারিতে ক্রেতাদের ভিড় রয়েছে। রাত ১২টায় পরিবারের সঙ্গে কেক কেটে নববর্ষ উদযাপনের জন্য কেকের গায়ে ‘ওয়েলকাম ২০২২’ লিখছেন অনেকে।
রাজধানীর আজিমপুরে এ-ওয়ান ও মিষ্টির দোকান সূত্রে জানা গেছে, সকাল থেকেই নববর্ষের কেক কিনছেন বিপুলসংখ্যক মানুষ।
আজিমপুরের বাসিন্দা শাহাদাত হোসেন নামের এক কলেজছাত্র জানান, বাসার ছাদে কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে নববর্ষ উদযাপন করবেন তারা। দেড় হাজার টাকায় একটি কেক কিনছেন তিনি। পুরান ঢাকার অনেক বাসিন্দা রাত ১২টায় বাড়ির ছাদে বাতি জ্বালিয়ে এবং বাজি জ্বালিয়ে নতুন বছরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
নববর্ষে যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে চেকপোস্ট বসিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। কিছু সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এসব নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও নববর্ষ উপলক্ষে প্রাইভেটকারে রাস্তায় নামতে দেখা গেছে অনেককে।