দেশের ৪৮ জেলায় মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পঞ্চম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনকে সামনে রেখে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
সোমবার (৩ জানুয়ারি) দুপুর ১২টা থেকে বৃহস্পতিবার (৮ জানুয়ারি) সকাল ৬টা পর্যন্ত ৫৪ ঘণ্টা চলবে এই নিষেধাজ্ঞা। এছাড়া আজ মধ্যরাত থেকে এসব আসনে প্রচারণা বন্ধ থাকবে। মধ্যরাতের পর নির্বাচনী প্রচারণা চালানো যাবে না।
ইউপি নির্বাচনের পঞ্চম ধাপের ভোটগ্রহণ শুরু হবে ৫ জানুয়ারি। ৪৮টি জেলার ৯৫টি উপজেলার ৭০৮টি ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনকে সামনে রেখে সব আসনে মোটরসাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আইন অনুসারে, ভোট শুরুর ৩২ ঘন্টা আগে প্রচার শেষ করতে হবে। ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টায় ভোট শুরু হবে। ৩২ ঘণ্টা আগে ৩ জানুয়ারি দুপুর ১২টার পর আর প্রচার চালানো হবে না। শুধু তাই নয়, কোনো মিছিল, বিজয় মিছিল, মশাল মিছিল ও আনন্দ সমাবেশ করা যাবে না।
ইসির উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান বলেন, মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) মধ্যরাত ১২টা থেকে বুধবার (৫ জানুয়ারি) রাত ১২টা পর্যন্ত মোটরসাইকেল ছাড়া সব ধরনের যান্ত্রিক যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। ইসি কর্তৃক অনুমোদিত যানবাহন এই নির্দেশিকা থেকে মুক্ত থাকবে। এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, যান চলাচল বন্ধ থাকলেও রিটার্নিং অফিসারের অনুমতিক্রমে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের নির্বাচনী এজেন্ট, দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষকদের (পরিচয়পত্র থাকতে হবে) নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হবে।
এ ছাড়া দেশি-বিদেশি সাংবাদিকদের (পরিচয়পত্র থাকতে হবে), নির্বাচনী কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, আইনি পর্যবেক্ষক এবং জরুরি সেবা যেমন অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎ, গ্যাস, ডাক, টেলিযোগাযোগ ইত্যাদি সংগ্রহ করা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নির্বাচনের খবরে যানবাহন ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না।
অন্যদিকে, জাতীয় মহাসড়ক, বন্দর এবং জরুরি পণ্য সরবরাহসহ অন্যান্য জরুরি প্রয়োজনে বিধিনিষেধ শিথিল করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) যুগ্ম সচিব এসএম আসাদুজ্জামান জানান, পঞ্চম ধাপে ১৯৩ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। চেয়ারম্যান পদে ৫২ জন, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ৩২ জন এবং সাধারণ সদস্য পদে ১০৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এই পর্বে সংরক্ষিত মহিলা সদস্য ও সাধারণ সদস্য পদে মোট ৩৬,৪৫৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৩ হাজার ২৭৪ জন, সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ৭ হাজার ৯৫০ জন এবং সাধারণ সদস্য পদে ২৫ হাজার ২৩৩ জন প্রার্থী রয়েছেন।
চলমান ইউপি নির্বাচনে এরই মধ্যে চার দফা ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া পঞ্চম ধাপের পর ৩১ জানুয়ারি ষষ্ঠ ধাপে ২১৯টি ইউপিতে এবং ৭ ফেব্রুয়ারি সপ্তম ও শেষ ধাপে ১৩৮টি ইউপিতে ভোটগ্রহণ করবে নির্বাচন কমিশন।