দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট দেশের আওয়ামী লীগ নেতাদের কথা বলার আহ্বান জানিয়েছেন আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শনিবার (১৫ জানুয়ারি) বিকেলে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে অল ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন অল ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের সভাপতি এম নজরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান। আ.লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ডা. শাম্মী আহমেদ, উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, কার্যনির্বাহী সদস্য সৈয়দ আব্দুল আউয়াল শামীম, অস্ট্রেলিয়া আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ অংশ নেন।
“নির্বাচনের আর দুই বছরেরও কম সময় বাকি। এই নির্বাচনে আমাদের প্রচারণার অন্যতম মাধ্যম সোশ্যাল মিডিয়া। দেখবেন, আমাদের প্রতিপক্ষের পাশাপাশি আমাদের দেশের প্রতিপক্ষরাও সোশ্যাল মিডিয়া বেছে নিয়েছে। বিভ্রান্তি ছড়ায়, গুজব ছড়ায়।’
তিনি বলেন, যেসব দেশে তারা এসব করে, সেখানে আওয়ামী লীগের নেতারা আছেন, কমিটি আছে, কিন্তু অপপ্রচারের বিরুদ্ধে যে পরিমাণ আওয়াজ তোলা দরকার, অনেক ক্ষেত্রেই তা পাওয়া যায় না। বললেন ডা. হাছান।
“তাদের সাথে মোকাবিলা করার অনেক উপায় আছে,” তিনি বলেছিলেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার ছড়ালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে। অন্য দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করলে দেশের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থাও নেওয়া হতে পারে। তবে সব ক্ষেত্রে নয়।
ডা. হাছান মাহমুদ বলেন, কে বা কোন কমিটি স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস উদযাপন করল বা কোন মন্ত্রীকে সংবর্ধনা দিল সেটা বড় বিষয় নয়, বিজয় দিবস, স্বাধীনতা দিবস পালন করতে হবে। এই বিষয়টিও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদকসহ দলটি বলেছেন, যারা দেশবিরোধী অপপ্রচার চালাচ্ছেন, তাদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ নেতারা কী ব্যবস্থা নেন তা এখন আমরা দেখব। তার ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হবে। তাই আমি আপনাকে এটি করতে অনুরোধ করছি। ‘
ড. হাছান বলেন, বিএনপি-জামায়াতের সাম্প্রদায়িক শক্তি দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে বিদেশে অপপ্রচার চালাচ্ছে, সেসব দেশের আইন প্রণেতাদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। সেসব দেশে আওয়ামী লীগ নেতাদের দেশের উন্নয়ন অগ্রগতি তুলে ধরার পাশাপাশি বিএনপিসহ সাম্প্রদায়িক অপশক্তি সম্পর্কে সতর্ক করা উচিত।
একই সঙ্গে রাজনীতিতে ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের ভূমিকার কথা স্মরণ করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তিনি বলেন, দেশের দুর্যোগে আপনারা প্রশংসনীয় ভূমিকা রেখেছেন। ২০০৭ সালে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যাকে দেশে আসতে দেওয়া না হলে আপনি তার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। বিপদ জেনেও অনেকে জননেত্রী নিয়ে দেশে এসেছেন, এমনকি জেলে গেছেন। তার জন্য ধন্যবাদ. ‘
আগামীকাল নারায়ণগঞ্জে সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন নিয়ে নারায়ণগঞ্জবাসীর মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা রয়েছে এবং নির্বাচন কমিশন স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু করতে যেভাবে কঠোর পরিশ্রম করছে। নির্বাচন।” জনগণের রায়ের প্রতিফলন ঘটবে। তিনি বলেন, আমি আশা করি ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী বিজয়ী হবেন।