বাংলাদেশ থেকে আইটি-প্রশিক্ষিত জনশক্তি নিয়োগের বিষয়টি বিবেচনা করতে মালয়েশিয়াকে অনুরোধ জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
তিনি বলেন, নিরাপদ ও নিয়মিত অভিবাসন চ্যানেলের মাধ্যমে আরও বেশি কর্মী পাঠানোর মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকার মালয়েশিয়ার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও কর্মকাণ্ডে অবদান রাখতে প্রস্তুত।
শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন ও মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন আবদুল্লাহর মধ্যে টেলিফোনে আলাপকালে এ আহ্বান জানানো হয়।
কথা বলছেন ড. মোমেন মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগের বিষয়ে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের প্রশংসা করেন। অর্থনীতির সব খাতে বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ উন্মুক্ত করার জন্য মালয়েশিয়া সরকারের সিদ্ধান্তেরও প্রশংসা করেন তিনি।
মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী দুই দেশের আইসিটি কর্তৃপক্ষের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা গড়ে তোলার মাধ্যমে ডিজিটাল অর্থনীতির ক্ষেত্রে সহযোগিতা সম্প্রসারণের গুরুত্বের ওপর জোর দেন। বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের প্রশংসা করে সাইফুদ্দিন আবদুল্লাহ সম্পর্ককে ‘কৌশলগত পর্যায়ে’ নিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।
ড. মোমেন দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী চলতি বছর বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনে সম্মত হন।
তিনি রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় সব ফোরামে মালয়েশিয়ার সহায়ক ভূমিকার প্রশংসা করেন। মোমেন। তিনি মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের দ্রুত তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন শুরু করতে সহায়তা অব্যাহত রাখার অনুরোধ জানান।
বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ভূমিকার প্রশংসা করে সাইফুদ্দিন বলেন, বাংলাদেশ মিয়ানমার থেকে ১১ লাখেরও বেশি বাস্তুচ্যুত মানুষকে আশ্রয় দিয়েছে। এ ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশাল মানবিক উদ্যোগের জন্য সারা বিশ্ব কৃতজ্ঞ।
দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী দুই দেশের মধ্যে আরও বাণিজ্যের সুবিধার্থে প্রস্তাবিত এফটিএ প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
ড. মোমেন বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ও বৈশ্বিক ফোরামে বাংলাদেশের প্রার্থীতার জন্য মালয়েশিয়ার সমর্থন চান। তিনি আসিয়ান সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনারশিপে বাংলাদেশের প্রার্থীতাকে সমর্থন করার জন্য মালয়েশিয়াকে অনুরোধ করেন।