সাতক্ষীরায় প্রতারণা ও জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে রেকর্ডপত্র তৈরি করে অন্যের জমি জবরদখলের অভিযোগে সাতক্ষীরা সদর থানার সাবেক এসআই এসএম হুমায়ূন কবীরের স্ত্রী নাজমা খাতুন ও শহরের মুন্সিপাড়ার ভূমিদস্যু ছালাম গাজীসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে দুদকের দেয়া চার্জশীট গ্রহণ করেছে সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত।
সাতক্ষীরার স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমান একই সাথে ওই মামলায় আসামিদের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারীরও আদেশ দেন।
এ মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আসামীরা হলেন, আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা গ্রামের মাদার সরদারের স্ত্রী জবেদা খাতুন, সদর উপজেলার মাছখোলা গ্রামের শেখ আব্দুর রশিদ, মুন্সিপাড়ার বাবলু গাজীর ছেলে ভূমিদস্যু ছালাম গাজী, আলীপুর চাপারডাঙ্গী গ্রামের বর্তমান ইউ.পি সদস্য জাহিদুর রহমান, পুরাতন সাতক্ষীরার আলাউদ্দীনের স্ত্রী শাহনাজ বেগম, সদর থানার সাবেক এসআই এসএম হূমায়ূন কবীরের স্ত্রী নাজমা খাতুন, পুরাতন সাতক্ষীরার রিয়াছাত আলী, তার স্ত্রী করিমন বেগম ও সদর সাব-রেজিস্ট্রী অফিসের দলিল লেখক সিরাজুল ইসলাম।
সূত্রে জানা যায়, আশাশুনির শ্রীউলা গ্রামের মৃত আহম্মদ আলীর ছেলে শাহীন ইকবাল ২০১৮ সালের ১৮ এপ্রিল সাতক্ষীরার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে সাতক্ষীরা সদরের সাব-রেজিস্টার মো. লুৎফর রহমান মোল্যা, সদর থানার সাবেক এসআই এসএম হূমায়ূন কবীরের স্ত্রী নাজমা খাতুন ও শহরের মুন্সিপাড়ার ভূমিদস্যু ছালাম গাজীসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে প্রতারনা ও জাল-জালিয়াতিসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি দমন আইন (২ নং আইন) এর ৫(২) ধারায় পিটিশন ৩/১৮ নম্বর একটি মামলা করেন।
আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, খুলনাকে নির্দেশ দেন। দীর্ঘ প্রায় ৪ বছর তদন্ত শেষে গত ৩১ ডিসেম্বর উপ সহকারী পরিচালক নীলকমল পাল সাতক্ষীরা সদরের সাব-রেজিস্টার মো. লুৎফর রহমান মোল্যাকে আসামি থেকে আব্যাহতি দিয়ে তাকে সাক্ষী শ্রেনীভুক্ত করে ৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন।
সাতক্ষীরার বিচারক সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমান গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ধার্য দিনে চার্জশীট গ্রহণ করে সকল আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারীর আদেশ দেন।
উক্ত আসামিরা পরস্পর যোগ সাজসে সাতক্ষীরা মৌজার ৫৬৭ ও ১৬২৭ এস, এ খতিয়ানের ২৪৭১, ২৪৭২ ও ২৪৭৩ দাগের এক একর ১২ শতক জমির খাজনাজারী মোকদ্দমার রায়, মিউটেশন, খন্ড খতিয়ান, চেক দাখিলা ও বর্তমান রেকর্ড জাল-জালিয়াতি করে সদর সাব-রেজস্টারের মাধ্যমে জাল দলিল সৃষ্টি করে জোর-পূর্বক সম্পত্তির দখল নেয়।
আদালত আগামী ১০ মার্চ এ মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন বলে জানা গেছে।