ফরিদপুরে ছিনতাইয়ের ভান করে দুলাভাইয়ের কাছ থেকে টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে শ্যালক। পরিকল্পনা অনুযায়ী সাজানো নাটকেও তিনি সাফল্য পেয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশ তদন্তের পর আসল সত্য প্রকাশ করে।
সহকারী পুলিশ সুপার (মধুখালী সার্কেল) সুমন কর বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।
দুলাভাই এফএমএ মুশার (৫১) ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার ঘোষপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি পেশায় একজন স্কুল শিক্ষক। শ্যালক অনিক ইসলামের (৩১) বাড়ি রাজবাড়ির উদয়পুর গ্রামে।
এই ঘটনাটি প্রায় এক বছর আগে শ্যালক এবং ভগ্নিপতির মধ্যে হয়েছিল। এক পর্যায়ে ভ্রাতুষ্পুত্র অনিক তার শ্যালক মুসার কাছ থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা ধার নিতে চেয়েছিল। গত মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) বিকাল ৬টার দিকে মধুখালী উপজেলা পরিষদের বনমালিডিয়া এলাকায় দুলাভাই মুছা তার শ্যালক অনিককে পাঁচ লক্ষ টাকা দেন। ঠিক তখনই মোটরসাইকেলে থাকা দুই আরোহী অনিকের হাত থেকে টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে মুছা মধুখালী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
সহকারী পুলিশ সুপার সুমন কর বলেন, বিষয়টি তদন্তের পর পুলিশ নিশ্চিত করেছে যে এটি ডাকাতি নয়, অনিকের সাজানো নাটক। অনিককে আটকের পর তিনি নাটকের সত্যতা স্বীকার করেন এবং দুই সহযোগীকে চিহ্নিত করেন। তারা হলেন রাজবাড়ী সদর উপজেলার উদয়পুর গ্রামের জাকির হোসেন (২৫) এবং একই গ্রামের মাসুদ মোল্লা (৩৭)। তাদের বাড়ি থেকে মোটরসাইকেল ও পাঁচ লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
মধুখালী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) এবং মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আবদুল হাকিম জানান, আটককৃতদের বৃহস্পতিবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
মধুখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ সহিদুল ইসলাম জানান, শ্যালক অনিক ও তার সহযোগী জাকির ও মাসুদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।