হৃদয় রায়হান।।
আগামীকাল বৃহস্পতীবার থেকে সাড়া দেশে একযোগে শুরু হচ্ছে এসএসসি, দাখিল ও সমমানের পরীক্ষা।
কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের শিক্ষা ও কল্যাণ শাখা সুত্রে জানা গেছে, এসএসসি, জেনারেল,দাখিল ও এসএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষায় কুষ্টিয়া জেলায় এবার মোট পরীক্ষার্থী ২৭ হাজার ৬শ ৪০ জন। গত বছর এ সংখ্যা ছিলো ২৭ হাজার ৩শ ৬০ জন। এ বছর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থী সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ২শ ৮০ জন।
কুষ্টিয়ায় এবার কেন্দ্রের সংখ্যা ৪৯ টি। ৪৯ টি কেন্দ্র বাদে এসএসসি পরক্ষার জন্য আরো ১৭ টি। এবার কুষ্টিয়ায় ৬টি উপজেলায় মোট এসএসসি পরীক্ষার্থী ২২ হাজার ৬শ ১৮ জন। গত বছর এ সংখ্যা ছিলো ২২ হাজার ২শ ৯০ জন। ৪৮টি কেন্দ্রে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে ৩১টি মুল কেন্দ্রে ও ১৭ টি ভেন্যু কেন্দ্র।
কুষ্টিয়ায় ৬টি উপজেলায় মোট দাখিল পরীক্ষার্থী ১ হাজার ৯শ ৫৪ জন। গত বছর এ সংখ্যা ছিলো ২ হাজার ৭২ জন। ৮টি কেন্দ্রে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। কুষ্টিয়ায় ৬টি উপজেলায় মোট এসএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষার্থী ৩ হাজার ৬৮ জন। গত বছর এ সংখ্যা ছিলো ২ হাজার ৯শ ৯৮ জন। ১০টি কেন্দ্রে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। রবিবার যশোর বোর্ডের অধীনে এসএসসিতে বাংলা (আবশ্যিক) ১ম পত্র, সহজ বাংলা ১ম পত্র পরীক্ষা রয়েছে। মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে দাখিলে কুরআন মাজিদ ও তাজবীদ। এছাড়া কারিগরি বোর্ডের অধীনে বাংলা-২ পরীক্ষা রয়েছে।
সুষ্ঠভাবে পরীক্ষা শেষ করতে সব মহলের সার্বিক সহযোগিতা জেলা কুষ্টিয়া প্রশাসকের পক্ষ থেকে। এছাড়া জেলার প্রত্যেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যাতে সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণভাবে পরীক্ষা সম্পন্ন করার জন্য। এ বিষয়ে গত ২৮ জানুয়ারী কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের সভা কক্ষে জেলা প্রশাসক এহতেশাম রেজার সভাপতিত্বে এসএসসি, দাখিল ও এসএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষা পরিচালনা সংক্রান্ত সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, পরীক্ষার সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তি ছাড়া অন্য কেউ পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পরবে না, পরীক্ষা চলাকালিন সময়ে কোন পরীক্ষার্থীকে নকলরত অবস্থায় পাওয়া গেলে সাথে সাথে সেই পরীক্ষার্থীকে বহিস্কার করা হবে।
কোন শিক্ষক কর্মকর্তা কর্মচারী দায়িত্বরত অবস্থায় কোন পরীক্ষার্থীকে নকল করতে সহায়তা করলে সেই শিক্ষক কর্মকর্তা কর্মচারীর বিরুদ্ধে কঠোর আইননুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। কোন পরীক্ষার্থীর নিকট নকল পাওয়া গেলে ঐ কক্ষে নিয়োজিত সকল কক্ষ পরিদর্শক যৌথ ভাবে দায়ী থাকবেন। ১৩ ফেব্রুয়ারী থেকে ১৪ মার্চ পর্যন্ত কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে। পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে কেন্দ্রের আশেপাশে প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে ফটোষ্ট্যাট মেশিনের দোকান বন্ধ রাখার বিষয়ে সির্দ্ধান্ত নেওয়া হয়। এছাড়া সুষ্ঠভাবে পরীক্ষা পরিচালনার জন্য বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।