বর্ণিল আয়োজনে পাঁচ দিনব্যাপী নিউইয়র্ক বাংলা বইমেলার উদ্বোধন করা হয়েছে। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় নিউইয়র্কের লাগার্ডিয়া ম্যারিয়ট হোটেলের বলরুমে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পাঠক, প্রকাশক ও লেখকদের একটি মেলা অনুষ্ঠিত হয়।
স্বাধীনতার ৫০ বছরে এবারের বইমেলা ভিন্ন। ভিডিও বার্তার মাধ্যমে মেলার উদ্বোধন করেন কবি আসাদ চৌধুরী। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সংসদ সদস্য শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম শহীদুল ইসলাম, জাতীয় গ্রন্থাগারের পরিচালক কবি মিনার মনসুর, বাংলাদেশ নলেজ অ্যান্ড ক্রিয়েটিভ পাবলিশিং কোম্পানির নির্বাহী মনিরুল হক প্রমুখ।
মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের আয়োজনে ৩০তম মেলার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন মেলার আহ্বায়ক ড. নুরুন নবী। এরপর ৩০ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে সম্মাননা জানানো হয়। হাতে প্রদীপ প্রদীপ নিয়ে মেলার উদ্বোধনী অংশে অংশ নেন তারা। উদ্বোধনী অধিবেশনে ‘গৌরবের পঞ্চাশ বছর’ শীর্ষক সেমিনার ছিল। পরে সঙ্গীত পরিবেশন করেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের রথীন্দ্রনাথ রায়, কাদেরী কিবরিয়া ও শহীদ হাসান। ঢাকা থেকে এসে মেলায় গেয়েছেন নবনীতা চৌধুরী।
মুক্তধারা-জিএফবি সাহিত্য পুরস্কার দেওয়া হয় পশ্চিমবঙ্গের ঔপন্যাসিক সমরেশ মজুমদারকে। মেলার ৩০তম বর্ষে মুক্তধারার প্রতিষ্ঠাতা বিশ্বজিৎ সাহা, সাংবাদিক নিনি ওয়াহেদ ও উদ্যোক্তা মোহাম্মদ আলীকে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয়।
এ মেলায় রয়েছে নানা আয়োজন। দিনের বাকি দিন জ্যাকসন হাইটসের ইহুদি কেন্দ্রে মেলা অনুষ্ঠিত হবে। সোমবার বিকেল ৪টায় মেলা শুরু হয়ে শেষ হবে রাত ১০টায়।
করোনা মহামারির কারণে এক বছর সরাসরি বইমেলা হয়নি। পাঠক, লেখক ও প্রকাশকদের অংশগ্রহণে নিউইয়র্ক বাংলা বইমেলার ৩০তম আসর। ঢাকার বেশ কয়েকটি প্রকাশনা সংস্থা এবারের মেলায় অংশ নিয়েছে। বই প্রদর্শন ও বিক্রি ছাড়াও মেলায় রয়েছে সাহিত্য আড্ডা, কবিতা পাঠ, সেমিনার, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং তথ্যচিত্র প্রদর্শনী।