সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসভা নিয়ে বিপাকে পড়তে হয়েছে দলকে। শনিবার (৩০ অক্টোবর) অনুমতি নিয়ে সমাবেশে বাধা দেয় পুলিশ। ফলে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে।
ভারতের ত্রিপুরার আগরতলায় রবীন্দ্র শতবর্ষ ভবনের সামনে সমাবেশটি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সমাবেশের মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে পুলিশ মঞ্চ ভেঙে নেতাকর্মীদের প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে সরিয়ে দেয়।
এদিকে রবীন্দ্র শতবর্ষ ভবনের সামনে বসে দলীয় নেতাকর্মীরা ত্রিপুরা রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন। তৃণমূল নেতারা ঘটনাস্থল পরিবর্তনের বিষয়ে পুলিশ প্রশাসনের দুই কর্মকর্তার সঙ্গেও কথা বলেছেন।
তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়েছে, এর আগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজ্য সফর স্থগিত করেছে প্রশাসন। বৈঠকের আবেদন একাধিকবার খারিজ হয়ে যায়। তাই এবার জনসভার জন্য আগাম অনুমতি চাওয়া হয়েছে। পুলিশও চারদিন আগে অনুমতি দিয়েছে।
প্রাদেশিক তৃণমূল কংগ্রেস স্টিয়ারিং কমিটির আহ্বায়ক ভৌমিক বলেছেন, বিজেপি ভয়ে কাঁপছে যে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আসবেন। এমতাবস্থায় রাষ্ট্রপতি মমতা ব্যানার্জি যদি আসতেন তাহলে তাদের কী হত?
ত্রিপুরা রাজ্য গোয়েন্দা পুলিশ সূত্রে খবর, নেতৃবৃন্দকে অনুষ্ঠানস্থল পরিবর্তনের অনুরোধ করা হয়েছিল। তবে তৃণমূল নেতারা কোনো অবস্থাতেই অনুষ্ঠানস্থল পরিবর্তনে আগ্রহী নন। চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তারা রোববার (৩১ অক্টোবর) রবীন্দ্র শতবর্ষ ভবনের সামনে জনসভা করবেন।
এদিকে তৃণমূল নেতাদের ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে সভাস্থল এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, এটা হয়রানি ছাড়া আর কিছুই নয়। তবে এ ধরনের হামলা ও মামলা দিয়ে তৃণমূলকে থামানো যাচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, “দুদিন আগে আমি আগরতলার শকুন্তলা রোডে রামায়ণের বেশ কিছু শ্লোক উদ্ধৃত করে কথা বলেছিলাম।” আর এই বক্তব্যের পর পশ্চিম আগরতলা থানায় আমার নামে মামলা হয়। সেই অনুযায়ী পুলিশ আমাকে নোটিশ পাঠালে আমি তাকে দেখতে যাই। পুলিশ যাই জিজ্ঞাসা করলো, আমিও উত্তর দিলাম।