সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০১:৫৭ অপরাহ্ন
বাংলাদেশে বিধবা ভাতা চালু হলেও ইউরোপে তা নেই বলে জানান তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী। হাসান মাহমুদ। তিনি বলেন, বাংলাদেশের নারীরা কখনো বিধবা ভাতা দাবি করেনি। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী বিধবা ভাতা চালু করেছেন, যা ইউরোপেও চালু হয়নি।
বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) চট্টগ্রামে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের নারী উন্নয়ন বিশ্বের কাছে উদাহরণ হিসেবে উপস্থাপন করেছে। ১৫-২০ বছর আগে, কেউ ভেবেছিল একজন মহিলা ডিসি-এসপি হবেন। কিন্তু আজ বাংলাদেশের অনেক ইউএনও নারী এবং অনেক জেলায় ডিসিও নারী। তারা অত্যন্ত দক্ষতার সাথে কাজ করছে।
তিনি বলেন, নারীরা শুধু সরকারেই নয়, গ্রামেও ক্ষমতায়িত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদে এক-তৃতীয়াংশ নারী সদস্য নিশ্চিত করেছেন। সন্তান জন্মের আগে অভিভাবকের জায়গায় শুধু বাবার নাম লেখা হতো। এখন মায়ের নামও লেখা।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, নারীর ক্ষমতায়ন শুরু হয় ১৯৯৬ সালে, যখন শেখ হাসিনা জনগণের ভোটে প্রথম সরকারের দায়িত্ব নেন। আমাদের নেত্রী হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে নারীদের নিয়োগ দিয়েছেন, আপিল বিভাগের বিচারপতিরাও নারীদের নিয়োগ দিয়েছেন। এখন অনেক মন্ত্রণালয়ের নারী সচিব দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, শিশুরা স্কুলে গেলে উপবৃত্তির টাকা তার মোবাইল ফোনে মায়ের কাছে যায়। ভোটের সময় নারী উন্নয়নে আওয়ামী লীগ সরকারের অবদানের কথা নারীদের মাথায় রাখতে হবে। এদেশের নারীরা যাতে নৌকা প্রতীকের কথা ভুলে না যান সেজন্য মন্ত্রী নারী আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দকে গ্রামে গ্রামে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।
তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, নারী উন্নয়নে আওয়ামী লীগ সরকার যতটা করেছে অন্য কোনো সরকার তা করেনি। বাংলাদেশে আরও নেতা আছেন, তারা নারী উন্নয়নে কিছুই করেননি। বিএনপি বা তাদের নেত্রী খালেদা জিয়া তা করেননি। তারা শুধু নিজেদের বিকশিত করেছে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রাঙ্গুনিয়া উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পলাশী মুৎসুদ্দী। সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন রাঙ্গুনিয়া উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিলুফার আক্তার। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনা সম্পাদক ওয়াসিকা আয়েশা খান এমপি, উত্তর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দিলুয়ারা ইউসুফ, সাধারণ সম্পাদক বাসন্তী প্রভা পালিত প্রমুখ।
