বাংলাদেশ ছয় ঋতুর দেশ। আমাদের দেশের ছয়টি ঋতু নাতিশীতোষ্ণ জলবায়ুর কথা অনেক দিন ধরেই মানুষকে বলে আসছে, কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আমরা যে ছয়টি ঋতুকে চিনি তা কয়েকটি ঋতুতে পরিণত হয়েছে। ভারি বর্ষণে জনজীবনে স্থবিরতা নেমে আসে।
গ্রীষ্মের উত্তাপ জনজীবনে অস্থিরতা নিয়ে আসে এবং এ সবই ছয় ঋতুর ফসল মাত্র। ঋতু পরিবর্তনের কারণে বিদেশ যেতে হচ্ছে। চলতি শরৎ ও শীতের কয়েকদিনের মধ্যেই প্রকৃতিতে দেখা দিয়েছে শীত। হিমেল হাওয়া বইতে শুরু করেছে সে কারণেই শীত অনুভূত হচ্ছে।
বর্ষা মৌসুমে দীর্ঘ মৌসুমের তারতম্যের কারণে এ বছর অতিবৃষ্টি হয়েছে, বর্ষা মৌসুমে তিনবার জমি প্লাবিত হয়েছে, সাতক্ষীরায় অতিবৃষ্টিতে জমি প্লাবিত হয়েছে। শত শত চিংড়ির ঘের ডুবে গেছে।
বন্ধ হয়ে গেছে কোটি টাকা মূল্যের চিংড়ি। কৃষকদের উৎপাদিত ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে। স্পষ্টতই, অর্থনীতি গভীর মন্দার মধ্যে রয়েছে। ভারী ও ভারী বর্ষণের কারণে এই শীতে প্রচণ্ড ঠাণ্ডা পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আজ ৫ নভেম্বর শীতের প্রভাব ইতিমধ্যেই দৃশ্যমান, আমাদের দেশে ছয়টি ঋতুর পরিবর্তন শুধু প্রকৃতিই নয়, বদলে গেছে জনজীবনেও।
সাতক্ষীরার বাস্তবতায় শীতে গরিব-দুঃখী মানুষের দুশ্চিন্তার শেষ নেই। শীত মৌসুমে শীত মোকাবিলা সফল হবে এমনটাই প্রত্যাশা।