পলো দিয়ে মাছ ধরা গ্রামের মানুষের আদি উৎসবের একটি। প্রাচীনকাল থেকেই মানুষ এই উৎসব পালন করে আসছে। এই উৎসবের উদ্দেশ্য হল এই মৌসুমে মানুষকে মাছ ধরতে যেতে উৎসাহিত করা। তাই প্রতি বছর বছরের এই সময়ে দলে দলে মানুষ খুঁটি নিয়ে বিলে ঝাঁপিয়ে পড়ে মাছ ধরতে।
আর এখান থেকেই শুরু হয় মাছ ধরার প্রতিযোগিতা। তবে এই উৎসব বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন স্থানে পালিত হয়। চলনবিল অধ্যুষিত নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার আত্রাই নদীতে মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চলে মাছ ধরার উৎসব।
এ সময় উপজেলার ধামাইচ বাজার, হেমনগর, মাগুরা বিনোদ, হামকুরিয়াসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের শিশু-বৃদ্ধসহ দুই শতাধিক মানুষ পলো, পানির ছিটা, উড়ন্ত জাল, লাঠি জাল ও হাতে জাল নিয়ে নদীর তীরে ছুটে আসেন। নেট)। তারা মনের আনন্দে মাছ শিকার করে। শোল, বোয়াল মাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ পেয়ে তারা খুবই খুশি।
উপজেলার মশিন্দা ইউনিয়নের বিল্বিয়াসপুর গ্রামের লিয়াকত আলী জানান, তিনিও পোলাও মাছ ধরতে আসেন। তারা কিছু গ্রামীণ সংস্কৃতি বা পুরানো ঐতিহ্য ধরে রাখার চেষ্টা করছে। আমরা মাছ পাই বা না পাই তাতে কিছু আসে যায় না, তবে একসাথে মাছ ধরার আনন্দটা একটু আলাদা। সকাল থেকে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের শত শত মানুষ মনের আনন্দে পলো বাওয়া উৎসবে যোগ দেন। পলো বাওয়া উৎসব চলে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত।
মশিন্দা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রভাষক মোস্তাফিজুর রহমান জানান, এলাকার মানুষ দীর্ঘদিন ধরে বিল ও নদীতে পোলাও বাওয়া পালন করে আসছে। প্রতি বছর শীত মৌসুমে স্থানীয়রা বিলে ভিড় জমায়।