বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে বৃষ্টির মধ্যে বিক্ষোভ করেছে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। বিক্ষোভ থেকে তথ্য প্রতিমন্ত্রী ড. মুরাদ হাসানকে গ্রেপ্তারেরও দাবি জানান তারা।
সোমবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে মিছিল শুরু হয়ে কাকরাইলে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়। মিছিলে নেতৃত্ব দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে রিজভী বলেন, “তথ্য প্রতিমন্ত্রী অশালীন মন্তব্য করেছেন। শেখ হাসিনা অসভ্যতা ও অসভ্যতার সাথে মন্ত্রিসভা চালাচ্ছেন। তাকে অবিলম্বে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা উচিত।”
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা আমিনুল ইসলাম, আকরামুল হাসান, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আবদুর রহিম, যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যক্ষ সেলিম মিয়া, জাকির হোসেন খান, ওমর ফারুক পাটোয়ারী, কেন্দ্রীয় সদস্য মাহাবুব আলম শিকদার, ঢাকা জেলা আহ্বায়ক মোখলেছুর রহমান খান ইলিয়াস শাহী, রুহুল হোসেন, তানভীর মোহাম্মদ সেন্টু, মোঃ হারুন অর রশিদ, আব্দুর রাজ্জাক ফরাজী, পারভেজ হাজারী, আরিফ হোসেন অপু, নারায়ণগঞ্জ জেলা যুগ্ম আহবায়ক এইচ এম হোসেন, মীর আলী, সবুজ, ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মেহবুব মাসুম শান্ত, ওমর ফারুক কাওছার, মশিউর রহমান রনি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের কাজী জিয়াউদ্দিন বাসেত ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের রাজু আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে জাতীয়তাবাদী যুবদল ঢাকা মহানগর দক্ষিণের উদ্যোগে ডা. মুরাদ হাসানের কুশপুতুল পুড়ে দাহ করা হয়। কর্মসূচিতে গোলাম মাওলা শাহীন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের খন্দকার এনামুল হক এনামসহ বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় পুলিশ নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া করে এবং লাঠিসোঁটা দিয়ে বেশ কয়েকজনকে পিটিয়ে আহত করে। তবে কাউকে আটক করা যায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।