নাশকতার জন্য বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে দায়ের করা দুটি পৃথক মামলায় জামিন আবেদনের ওপর শুনানি আবার মুলতবি করেছে হাইকোর্ট। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক নিশ্চিত করেছেন যে আগামী রবিবার এ বিষয়ে শুনানি হতে পারে।
সোমবার (১৮ অক্টোবর) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের সমন্বয়ে একটি ভার্চুয়াল বেঞ্চ এই সপ্তাহে নয় আদেশ দিয়েছে।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আন্না খানম কালি এবং মো. সাইফুর রহমান সিদ্দিকী সাইফ। আসামিদের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার সানজিদ সিদ্দিকী।
রাষ্ট্রীয় অ্যাটর্নি ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, আসলাম চৌধুরীর আইনজীবী আজ জামিনের মামলার তালিকায় থাকলেও সময়ের আবেদন করেছিলেন। এরপর আদালত নট দিস উইকের আদেশ দেন।
এর আগে, গত ১৪ অক্টোবর তার আইনজীবী তার জামিন আবেদনের শুনানি না করে সময় নিয়েছিলেন। আজও তিনি সময়ের আবেদন জানিয়েছেন।
আসামির আইনজীবী ব্যারিস্টার সানজিদ সিদ্দিকী বলেন, আসলাম চৌধুরীর দুটি মামলায় জামিন আবেদন শুনানির জন্য তালিকায় রয়েছে। কিন্তু আমরা সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন উপস্থিত হতে না পারায় সময় চেয়েছিলাম। আদালত সেই আবেদনটি ‘এই সপ্তাহে নয়’ করেছে।
২০১৩ সালের ২২ এপ্রিল রাজধানীর ফুলবাড়িয়ায় নাশকতার জন্য এবং একই মাসের ২৩ এপ্রিল বাবুবাজার পুলিশ ফাঁড়ির সামনে দুটি মামলা দায়ের করা হয়। আসলাম চৌধুরীকে এই দুই মামলায় শ্যোন গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছিল।
অনেক পরে, ২৬ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে। পরে তিনি এই দুটি মামলায় হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেন।
এর আগে, তার বিরুদ্ধে ভারত সফর ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের কর্মকর্তাদের সাথে “সরকার উৎখাত” করার জন্য আলোচনা করার অভিযোগ ছিল।
২০১৬ সালে দিল্লি ও আগ্রার তাজমহল এলাকায় ইসরাইলের সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল ডিপ্লোমেসি অ্যান্ড অ্যাডভোকেসির প্রধান লিকুদ পার্টির প্রধান মেন্দি এন সাফাদির সঙ্গে আসলাম চৌধুরীর বৈঠক দেশ -বিদেশে বিতর্কের জন্ম দেয়।
২০১৬ সালের ১৫ মে সন্ধ্যায় আসলাম চৌধুরী ও তার ব্যক্তিগত সহকারী মো. আসাদুজ্জামান মিয়াকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (উত্তর)। পরে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। পরদিন, ১৬ মে ৫৪ ধারায় সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের সন্দেহে দুজনের জন্য ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। আদালত ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে অনুমতি পাওয়ার পর ওই বছরের ২৬ মে গুলশান থানায় আসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা দায়ের করা হয়। ডিবি পরিদর্শক গোলাম রাব্বানী দণ্ডবিধির ১২০ (বি), ১২১ (৩) এবং ১২৪ (এ) ধারায় মামলাটি দায়ের করেন। পরে হাইকোর্ট তাকে ওই মামলায় জামিন দেয়।