নর্দান ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজি খুলনা (এনইউবিটি) ৩ কোটি টাকার বৃত্তির উদ্বোধন করেছে। ‘শেখ আবু নাসের মেধা বৃত্তি ও বেগম রাজিয়া নাসের স্বর্ণপদক’ উদ্বোধন করেন খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ সালাহউদ্দিন।

বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে বৃত্তির উদ্বোধন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ সালাহউদ্দিন।

নর্দান ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজি খুলনার প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য প্রফেসর আবু ইউসুফ মো. আবদুল্লাহ’র সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনার জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে শেখ সালাহউদ্দিন বলেন, আমার পিতা-মাতার নামে এই বৃত্তি চালুর কথা শুনে আমি খুবই আনন্দিত। আমি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।

স্থায়ী ক্যাম্পাসের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নর্দান ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজি ১৬ বিঘার ওপর স্থায়ী ক্যাম্পাস চালু করেছে। ফলে শিক্ষা কার্যক্রম আরো গতি পাবে।

তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ভারতের রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশে এসেছেন। মুক্তিযুদ্ধে ভারতের সহযোগিতা ও প্রশিক্ষণের ফলে মুক্তিযুদ্ধ বেগবান হয়। আমাদের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী পালিত হচ্ছে। শেখ মুজিবের নেতৃত্বে ৩০ লাখ শহীদ ও ২ লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের মাধ্যমে আমাদের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। কিন্তু বারবার এই ইতিহাস মুছে ফেলার চেষ্টা হয়েছে। নতুন প্রজন্মকে এই ইতিহাস আরও পড়তে হবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ড. মনিরুজ্জামান তালুকদার বৃত্তি প্রবর্তনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এই উদ্যোগের মাধ্যমে অনেক দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীও উচ্চ শিক্ষা লাভ করতে পারবে। স্বর্ণপদক মেধাবী শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার প্রতিও আগ্রহ বাড়াবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেমন ক্ষুধামুক্ত দেশ গড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, আজকের শিক্ষার্থীরাই আগামীতে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেবে।

সভাপতির বক্তব্যে এনইউবিটির প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য প্রফেসর ড. আবু ইউসুফ মো. আবদুল্লাহ বলেন, আমরা স্বাধীনতার ৫০ বছরে পদার্পণ করছি। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীও চলছে। এটি একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। আমাদের পরম শ্রদ্ধেয় শেখ আবু নাসেরের নামে যে বৃত্তি চালু করা হচ্ছে তাতে দরিদ্র ও মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের আরও বেশি সুযোগ দেওয়া হবে এবং যারা ভালো করবে তাদের জন্য বেগম রাজিয়া নাসেরের নামে স্বর্ণপদক সংরক্ষিত রাখা হয়েছে। তাদের পড়াশোনা।

স্থায়ী ক্যাম্পাস প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আশা করছি আগামী দুই বছরের মধ্যে স্থায়ী ক্যাম্পাসের কাজ শেষ করে সেখানে একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করতে পারব।

অন্যান্যের মধ্যে নর্দান ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজি খুলনার রেজিস্ট্রার ড. মোঃ শাহ আলম, খুলনা মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক ও খুলনা মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ শাহজালাল হোসেন সুজনসহ খুলনা বিভাগের বিভিন্ন কলেজের অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, শিক্ষক ও অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।

নর্দান ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজি খুলনা ২০১৬ সাল থেকে খুলনা শহরের শিববাড়ি কর্নারে একটি অস্থায়ী ক্যাম্পাসে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নীতিমালা অনুযায়ী স্থায়ী ক্যাম্পাস ও অন্যান্য কার্যক্রম অনুমোদনের পর একটি স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণ করা হবে। খুলনা শহরের উপকণ্ঠে ৭ একর জায়গায় শিগগিরই ক্যাম্পাসের কাজ শুরু হবে।