প্রথম ইনিংসে ১৪৪ রানে পিছিয়ে থাকা ইসলামী ব্যাংক পূর্বাঞ্চল গতকাল (সোমবার) ১২৭ রানে পিছিয়ে দ্বিতীয় দিন শেষ করেছে। আগের দিন ইমরুল বাহিনীর স্কোর ছিল বিনা উইকেটে ১৭ রান। ইমরুল কায়েস ১ ও আশরাফুল ১৪ রানে অপরাজিত ছিলেন।
তখন হয়তো কেউ ভাবছেন, ম্যাচ শেষ হবে তৃতীয় দিনে আজ মঙ্গলবার। কিন্তু বাস্তবে তাই হয়েছে। সেই প্রায় অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন বিসিবি উত্তরের বাঁহাতি স্পিনার সানজামুল ইসলাম নয়ন। দৃশ্যটি তার জাদুকরী আবর্তনে ভোজবাজির মতো বদলে গেছে।
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেরা বোলিং দক্ষতা উপহার দিয়েছেন সানজামুল। একাই নিয়েছেন ৮ উইকেট। সেরা বোলিং ফিগার ৮০ রানে ৯ উইকেট।
আজ নিজ শহর রাজশাহীর শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে ৯৮ রানে ৮ উইকেট নেন এই বাঁহাতি স্পিনার। আর তাতেই বালির বাঁধের মতো ভেঙে পড়েছে পূর্বাঞ্চলের ইনিংস।
ইমরুল কায়েস, মোহাম্মদ আশরাফুল, শামসুর রহমান শুভ, আফিফ হোসেন ধ্রুব, মাহমুদুল হাসান জয়ের দ্বিতীয় ইনিংস সকালের সেশনে বিনা উইকেটে ২৫৪ রানে শেষ হয়।
প্রথম ইনিংসে ৭০ রান করা আশরাফুল আজ সকালে পেসার শফিকুলের ১৭ রানের পর লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে পড়েন। এরপর শুরু হয় সানজামুলের ঘূর্ণিঝড়। বিধ্বংসী হয়ে ওঠেন রাজশাহীর বাঁহাতি স্পিনার। পরের ৯ উইকেটের মধ্যে ৮টিই নেন তিনি।
পূর্বাঞ্চল উইকেটরক্ষক প্রীতম কুমার (৩০), অধিনায়ক ইমরুল কায়েস (২৩), শামসুর রহমান শুভ (১৮), শাহাদাত হোসেন দিপু (১৮), আফিফ হোসেন ধ্রুব (৩৫), মাহমুদুল হাসান জয় (৮) ও নাঈম হাসান (৪৫), ইরফান (১২) আসাদুজ্জামান পায়েলকে আউট করেন সানজামুল।
তার বোলিংই উত্তরাঞ্চলে মার্শাল আইয়ুবের জয়ের পথ তৈরি করেছিল। জয়ের জন্য প্রয়োজন ১১৩ রান। ৪ উইকেট হারানোর পর, তিনি ছোট লক্ষ্যে পৌঁছেছেন এবং ৬ উইকেটে জিতেছেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ইসলামী ব্যাংক পূর্ব
প্রথম ইনিংস: ৫৫.৫ ওভারে ১৬৬/১০ এবং দ্বিতীয় ইনিংস: ৫১ ওভারে ২৫৪/১০ (ইমরুল ২৩, আশরাফুল ১৮, শামসুর রহমান শুভ ১৮, শাহাদাত হোসেন ২৭, আফিফ হোসেন ধ্রুব ৩৫, মাহমুদুল হাসান জয় ৮, প্রীতম কুমার ৩৩, নাইম হাসান ৪৫, তানভীর ইসলাম ৩০, ইরফান ১২, সানজামুল ইসলাম ৮/৯৮, শফিকুল ২/৫৮)।
বিসিবি উত্তরাঞ্চল
প্রথম ইনিংস: ১০১.১ ওভারে ৩১০/১০ এবং দ্বিতীয় ইনিংস: ২৮ ওভারে ১১৪/৪ (তানজিদ তামিম ১৯, জুনায়েদ ৩৮, তানভীর হায়দার ৭, নাঈম ইসলাম ২৮, মার্শাল আইয়ুব ১২ অপরাজিত, মাহিদুল ইসলাম ৫ অপরাজিত)।