বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো বেস্ট এইড স্টার্টআপ ভাসানচরে টেলিমেডিসিন কোম্পানি হিসেবে কাজ করার জন্য অনাপত্তিপত্র পেয়েছে।
বুধবার (৩ নভেম্বর) ত্রাণ ও শরণার্থী প্রত্যাবাসন কমিশনারের অতিরিক্ত সচিব শাহ রেজওয়ান হায়াত আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব মরিয়ম জাহান বরাবর একটি অনাপত্তি পত্র পাঠান।
ফলে আইসিটি বিভাগের আইডিয়া প্রকল্পের সরাসরি তত্ত্বাবধানে ভাসানচরে প্রথমবারের মতো একটি টেলিমেডিসিন স্টার্টআপ কাজ করার সুযোগ পাচ্ছে।
বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল পরিচালিত ‘ইনোভেশন অ্যান্ড এন্টারপ্রেনার ডেভেলপমেন্ট একাডেমি’ প্রকল্পের অধীনে বেস্ট এইড একটি টেলিমেডিসিন পরিষেবা স্টার্টআপ কোম্পানি। দুই বছর ধরে বেস্ট এইড বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে কার্যকর ভূমিকা পালন করছে।
কোভিড-১৯ মহামারীর জন্য সর্বোত্তম সহায়তা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রমে অনন্য ভূমিকা এবং সাফল্য রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ভাসানচরে স্থানান্তরিত মিয়ানমারের সুবিধাবঞ্চিত ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য ২৪ ঘণ্টা স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে বেস্ট এইড কাজ করবে।
বেস্ট এইডের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও মীর হাসিব মাহমুদ বলেন, ভাসানচরে চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নয়নে বেস্ট এইড অক্লান্ত পরিশ্রম করবে। এই কাজের মাধ্যমে আমি মনে করি বেস্ট এইড বাংলাদেশে টেলিমেডিসিন কার্যক্রমে অনন্য নজির স্থাপন করবে।
গত ৯ অক্টোবর বাংলাদেশ সরকার জাতিসংঘের সাথে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করে। ভাসানচর ছাড়াও কক্সবাজারে বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের (রোহিঙ্গা) মানবিক সহায়তা দেবে জাতিসংঘ।
বাংলাদেশ সরকারের সচিবালয়ের পক্ষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মহসিন এবং বাংলাদেশে ইউএনএইচসিআর প্রতিনিধি ইয়োহানেস ভন ডার ক্লাও চুক্তিতে সই করেন।
ফাইনালে দ্বিতীয় রানার আপ হয়েছে বাংলাদেশি হেলথ স্টার্টআপ ‘বেস্ট এইড’ ইমাজিন ইফ বাংলাদেশ। কম খরচে অ্যাম্বুলেন্স তৈরি করে বিশ্ব প্লাটফর্মে জায়গা করে নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।