বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) রাত ৮টার দিকে নিহতের স্বামী বাদী হয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মামলাটি করেন।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ মনিরুল গিয়াস বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মামলায় সাতজনকে আসামি করা হয়েছে, যাদের মধ্যে চারজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। বাকি তিনজন অজ্ঞাত।
চিহ্নিত আসামিরা হলেন- আশিকুল ইসলাম, আব্দুল জব্বার জয়া, বাবু ও রিয়াজ উদ্দিন ছোটন। এদের মধ্যে রিয়াজ উদ্দিন ছোটন জিয়া গেস্ট ইন হোটেলের ব্যবস্থাপক। তাকে আটক করেছে র্যাব।
কক্সবাজারে বুধবার এক নারী গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন। ধর্ষকদের দল ইচ্ছাকৃতভাবে প্রথমে মহিলার স্বামীর সাথে তর্ক শুরু করে। পরে স্বামী শিশুটিকে আলাদা করে মহিলাকে তুলে নিয়ে যায়।
ধর্ষণের শিকার ওই নারী র্যাবকে জানান, বুধবার (২২ ডিসেম্বর) সকালে শিশুসহ ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে ওই নারী ও তার স্বামী কক্সবাজারে পৌঁছান। সন্ধ্যায় সৈকত থেকে ওঠার সময় তার স্বামী ভিড়ের মধ্যে কয়েকজন যুবকের সাথে ধাক্কা খায়। পরে ওই নারীর স্বামী তাদের কাছে ক্ষমা চান।
কিন্তু স্বামী-স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়ায় জড়িয়ে পড়েন ওই যুবক। পরে সে তার স্বামী ও সন্তানকে ওই নারীর কাছ থেকে দূরে ঠেলে দেয়। একপর্যায়ে তারা ওই নারীকে সিএনজিযোগে শহরের একটি নির্জন স্থানে নিয়ে যায় এবং তার স্বামীকে হত্যার হুমকি দেয়। সেখানে তিনজন তাকে ধর্ষণ করে।
ওই নারী জানান, দ্বিতীয় দফায় তাকে কক্সবাজারের জিয়া গেস্ট ইন নামের একটি হোটেলে নিয়ে গিয়ে আবারও ধর্ষণ করা হয়। ঘটনাটি কাউকে জানালে শিশু ও তার স্বামীকে হত্যা করা হবে বলে ধর্ষকরা হোটেলের কক্ষে তালা দিয়ে চলে যায়।
জিয়া গেস্ট ইনের তৃতীয় তলার জানালা দিয়ে ডেকে এক যুবকের সহায়তায় কক্ষের দরজা খুলে দেন। তারপর তিনি ৯৯৯ কল করেন।
তবে কক্সবাজার থানার ৯৯৯ নম্বরে যোগাযোগ করা হলেও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওই নারীকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেননি।
পরে ওই নারী আরেকজনের সহায়তায় র্যাবকে ফোন করেন। র্যাব দ্রুত সাড়া দিয়ে মধ্যরাতে হোটেল থেকে ওই নারীকে উদ্ধার করে।