কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার মোগলবাসা ইউনিয়নে সেকান্দার-আফরোজা দম্পতির ঘরে জন্ম নেওয়া দুই মাথার মেয়ে শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (৩০ অক্টোবর) রাত ৮টার দিকে নিজ বাড়িতে ওই দম্পতির মৃত্যু হয়। রাত ৯টায় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে যমজদের দাফন সম্পন্ন হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৩ অক্টোবর সন্ধ্যায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে শিশুটির জন্ম হয়। ছয় দিন চিকিৎসার পর বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) তাদের বাড়িতে আনা হয়। দুই দিন বাড়িতে থাকার পর শনিবার রাতে তাদের মৃত্যু হয়। সেকেন্দা-আফরোজা দম্পতির এটিই প্রথম সন্তান।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, চিকিৎসকের পরামর্শে শনিবার (২৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় আফরোজাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তিনি সিজারের মাধ্যমে দুই মাথা বিশিষ্ট নবজাতকের জন্ম দেন। প্রথমে সুস্থ থাকলে দিন দিন নানা সমস্যা দেখা দেয়। পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক শিশুটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। পরিবারের অস্বচ্ছতার কারণে তারা ঢাকা না নিয়ে বাসায় নিয়ে যায়। দুই দিন পর শিশুটি মারা যায়।
কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. আল-আমিন মাসুদ বলেন, কনজুরিংয়ের কারণে এমন শিশুর জন্ম হয়েছে। মাতৃগর্ভে ভ্রূণ বড় হয় বলে একে আলাদা করা যায় না। এ কারণে গর্ভে শরীর এক হলেও মাথা আলাদা। এই শিশুদের জটিল অস্ত্রোপচার প্রয়োজন। যা একটি ব্যয়বহুল ব্যবস্থা।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য জাহাঙ্গীর জানান, দুই মাথার শিশুটি নিজ বাড়িতে মারা গেছে। রাত ৯টার দিকে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে শিশুটির দাফন সম্পন্ন হয়।